বর্তমানে বলিউড সরগরম সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু থেকে মাদক যোগ নিয়ে।বি-টাউনের তাবড় তাবড় সেলেবদের নাম জড়িয়েছে মাদক যোগে। এরই মাঝে জামিন পায় সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। এইসবের মাঝেই এবার একজোট বলিউড। রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী ও টাইমস নাও-র সঞ্চালক নবিকা কুমার সহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো বলিউডের অভিনেতা পরিচালকদের মোট ৩৪টি প্রযোজনা সংস্থা।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই উঠেছিলস্বজন পোষণের অভিযোগ। আর তাতে নাম জড়িয়েছিল বলিউডের স্টার কিড থেকে তাবড় তাবড় সেলেবদের। সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুর পর সুশান্ত অনুরাগীরা স্টার কিড বয়কট এই আওয়াজও তুলেছিল। এরই মাঝে এবার শাহরুখ খান, আমির খান, করণ জোহর, সলমন খান, ফারহান আখতার, অজয় দেবগণের মতো অভিনেতা পরিচালকদের মোট ৩৪টি প্রযোজনা সংস্থা অভিনেত্রী, পরিচালক, কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবমাননাকর ও অপমানসূচক রিপোর্টিং, করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলেছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। পরিচালক-প্রযোজক ছাড়াও বলিউডের বড় স্টুডিয়োর মালিক কর্তৃপক্ষ, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিও রয়েছে। রাকেশ রোশন,রোহিত শেট্টি, বিধু বিনোদ চোপড়া,কবীর খান, সিদ্ধার্থ রায় কপূর, বিশাল ভরদ্বাজ, জোয়া আখতার, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার মতো নামি প্রযোজক-পরিচালকরাও এই অভিযোগ তুলেছেন।
শুধু অভিযোগই না সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে পরিচালক অভিনেতার দলটি মামলাও দায়ের করেছে। পাশাপশি এই মামলায় যুক্ত হয়েছে প্রোডিউসার্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। অভিযুক্তর তালিকায় রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী, টাইমস নাও-র সঞ্চালক নবিকা কুমার ছাড়াও রয়েছেন রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক প্রদীপ ভাণ্ডারী, টাইমস নাও-র এডিটর-ইন-চিফ রাহুল শিবশঙ্করও। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য ভেদে নেমে মাদকচক্রের হদিস পায় তদন্তকারীরা। আর সেই মাদক যোগে নাম জড়ায় সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী থেকে সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর ,দীপিকা পাড়ুকোনেরও।
তবে এই বিষয়ে মামলাকারীদের অভিযোগ,’একটি অপরাধের জন্য গোটা বলিউডকে জড়িয়ে দেওয়া, হয়েছে। এমন ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে, যেন গোটা বলিউড অপরাধী এবং মাদকের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তাতে জনসাধারণের মনে বলিউড সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে এবং মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িতদের সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে’।
এমনকি এই বিষয়ে রিপাবলিক টিভি ও টাইমস নাও এই দুটি চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানানো হয়েছে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে। আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা ডিএসকে লিগ্যালের পক্ষে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে,’ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবার জীবন ও জীবিকা যে ভাবে গোটা বলিউডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে তাতে। এমনিতেই অদৃশ্য ভাইরাস করোনার জন্য কাজ হারানো থেকে উপার্জন কমে যাওয়ার সঙ্কট চলছিল। এই প্রবণতা তাতে আরও ক্ষতি করেছে’।