Featuredনিউজ

Chanakya niti: চাণক্য নীতি অনুযায়ী এই তিনটে কাজ অবশ্যই করুন, না হলে ব্যর্থ এ জীবন

চাণক্য নীতি অনুসারে এমন তিনটি কাজ রয়েছে, যা না করলে অপূর্ণ থেকে যেতে পারে জীবন

Advertisement
Advertisement

খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে চাণক্য ভারতে বসবাস করতেন। তিনি একজন শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক এবং রাজকীয় উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম ভারতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির মূল বলে মনে করা হয়। ধ্রুপদী অর্থনীতির তত্ত্বে তার বিশেষ অবদানের জন্য কৃতিত্ব পেয়েছেন। তিনি সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হন এবং পরে চন্দ্রগুপ্তের পুত্র বিন্দুসারের জন্য একই ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচিত চাণক্য নীতি (Chanakya Niti) আজও প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। তারই নীতি অনুসারে এমন তিনটি কাজ রয়েছে, যা না করলে জীবনে আক্ষেপ থেকে যেতে পারে।

চাণক্য নীতি কী (Chanakya niti)?

চাণক্য নীতি (Chanakya Niti) হল চাণক্য দ্বারা রচিত অ্যাফোরিজমের একটি সংগ্রহ। চাণক্য নীতি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ ও তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছিল। এটি একগুচ্ছ আদর্শ বানীর সম্ভার যা এই আধুনিক জীবনেও প্রত্যেকটি মানুষকে সঠিক পথে চলার পরামর্শ দেয়।

তিনটি কাজ কী কী?

১) জীবনে বাঁচতে হলে প্রতিটি পুরুষকেই উপার্জন করতে হবে। চাণক্য নীতি (Chanakya Niti) অনুসারে তাই সৎ পথে থেকে যে কাজ করে উপার্জন করা যায় সেই কাজে কখনোই লজ্জা করা উচিৎ নয়। যদি কোন পুরুষ কর্মক্ষেত্রে লাজুক হয়ে থাকে, তবে সে কখনোই উপার্জন করতে সক্ষম হবে না। তাই লজ্জা ও ঘৃণা ত্যাগ করে উপার্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

২) পেটে খিদা কিন্তু মুখে লজ্জা করলে কেউ আপনি থেকে এসে খাবারের যোগান দিয়ে যাবে না। যদি কারো খিদে থাকে, তবে সেই ক্ষুধা নিবারনের জন্য যা যা করণীয় সেটা করতে হবে। অনেক মানুষই আছে যারা লজ্জার কারণে সর্বসমক্ষে বাইরে ঠিকভাবে খেতে পারে না। যার ফলে তাদের ক্ষুধা নিবারণ হয় না। ফলে সবশেষে ক্ষুধার্তই থেকে যায়। এতে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাওয়া সম্ভব না।

৩) আচার্য চাণক্যের মতানুসারে, প্রতিটি মানুষের জীবনে গুরুর একটি বিশেষ অবদান থাকে। প্রতিটি গুরুই তাঁদের শিষ্যকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে সঠিক পথে চলার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু শীষৄ যদি লজ্জা করে গুরুর কাছ থেকে ঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন করতে না পারে, তবে তার জীবনে সর্বচ্চো উন্নতি লাভ করা সম্ভব হয় না। একজন সফল মানুষ হতে গেলে তাকে গুরুর প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা রেখে, তাঁর কাছ থেকে যথাসম্ভব শিক্ষা ও জ্ঞান আদায় করে নিতে হবে।

Related Articles