নিউজরাজ্য

লক্ষী সহায়, ৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি মূক ও বধির এই ব্যক্তি

এবার মাত্র ৩০ টাকার লটারিতে কেল্লাফতে হয়েছে। রাতারাতি বদলে গেছে ভাগ্য।

Advertisement
Advertisement

মা লক্ষী কখন যে কার উপর সহায় হবে তা জানা নেই। তবে মা লক্ষীর কৃপা পড়লে তাঁর জীবন পাল্টে যাবেই। এবার মায়ের আশীর্বাদ পড়ল এক গরিব পরিবারে। তবে এই ব্যক্তি শুধু যে গরিব তা নয়, তিনি মূক ও বধির। তাঁর মনের কথা, কষ্ট কাউকেই কোনোদিন বলতে পারেননি। তবে এবার মাত্র ৩০ টাকার লটারিতে কেল্লাফতে হয়েছে। রাতারাতি বদলে গেছে ভাগ্য।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামোর গ্রামের বাসিন্দা এই দিনমজুর মাত্র ৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি এক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন। হরি মাঝির বয়স ৪২। তার বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, বিধবা মা, এক ছেলে। আর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। হরিবাবুর স্ত্রী পুতুল মাঝি ও দিনমজুরি করেন। আর ছেলে সুজন পড়াশোনা ছেড়ে দিনমজুরি করে। গরিব পরিবার খুব কষ্ট করেই তাঁদের সংসার চালান।

তাদের মাটির বাড়িতে খড়ের ছাউনি। ছোট ছোট দুটি ঘরে তারা থাকে। আবার বৃষ্টি হলে ঘরের চাল দিয়ে জল পড়ে। তবুও কোস্ট করেই সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন এই পরিবার। হরিবাবু মাঝেমধ্যেই লটারি কাটতেন বলে জানিয়েছেন পুতুল। সেদিনকে ছেলে সুজনের কাছে ৩০ টাকা চেয়ে সকালের দিকে ভাতার বাজারে গিয়েছিলেন। আর এরপরে পুতুল বলেন যে টাকা নিয়ে ভাতার বাজারে গেলেও জানতাম না টিকিট কাটবেন। বিকেলে জানতে পেরেছিলাম যে এক কোটি টাকা লটারিতে পড়েছে।

এই খবর শুনে নিজেও খুব খুশি হয়েছেন হরিবাবু। কথা বলতে না পারলেও মনের আনন্দটা স্ত্রী ও মাকে ইশারাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইশারায় তিনি বলেছেন যে “তোমাদের জন্য ভাল বাড়ি তৈরি করে দেব।” আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার বিকেলে ভাতার এলাকায় রীতিমতো ভিড় জমে যায়। বামোর গ্রামে অনেকেই হরিকে দেখতে ভিড় করেন। তবে প্রতিবেশীরা তাঁর নিরাপত্তার জন্য হরিকে পাহাড়া দিচ্ছেন।

Related Articles