আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করেছিলো রাজ্য সরকার। আমান ঝড়ে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে প্রত্যককে ২০,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষনা করেছিলো রাজ্য সরকার। সেই মতো অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢুকে গেছে কমবেশি সকলের। কিন্তু এমন কিছু জনের অ্যাকাউন্টের টাকা ঢুকে গেছে, যা দেখে আপনার ও রাগ হবে। টাকা ঢুকেছে বড় পাকা বাড়ির মালিকদের। যাদের বাড়িতে আমফানের আঁচ মাত্র লাগেনি। সেই নিয়েই অভিযোগ কল্যাণী ব্লকের বিডিও কাছে। লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন কল্যাণী ব্লকের স্থানীয় বাসিন্দা অন্যদিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নারায়ণ হালদার।
জানা গিয়েছে, কল্যাণী ব্লখে মদনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজদিয়ায় ২৮ জনের ঘর আমপানে পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে বলে রিপোর্ট জমা পড়েছিলো। আর সেই কারন বসত অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ওই ২৮ জনের মধ্যে অন্তত ২০ জনের বেশি বড়মাপের পাকার বাড়ি রয়েছে। এবং আমপানের সেই বাড়িগুলির কোনো ক্ষতিও হয়নি। অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই টাকা তারা পেয়েছেন। এদিকে অভিযোগকারী নারায়ণ হালদার জানিয়েছেন, ‘‘তালিকা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এঁরা প্রত্যেকে এলাকার সম্পন্ন মানুষ। পাকা বাড়ির মালিক। বিষয়টি জেনেই বিডিও ও মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এটা একটা মারাত্মক দুর্নীতি চলছে।’’
ওই এলাকার পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়া সোমনাথ অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘সবকিছু তো মানুষের জন্যই। তাই সরকারি টাকা আমি নিয়েছি।’’সরকারের টাকা যে সুযোগ পাবে সেই নেবে। এতে গরিব-বড়লোকের কী আছে!’’