আবার কি সেই অশনি সংকেত?করোনা ভাইরাসের অতর্কিত হানা, নানা জায়গায় দাবানল, ঘূর্নিঝড়ে বিধস্ত বাংলা, ভারতের নানা জায়গায় পঙ্গপালের আক্রমন 2020 তে আর কি অপেক্ষা করে আছে? এবার কি তাহলে প্রবল কম্পন আর সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাবার সময় আসন্ন? 2011 সালে জাপানের সুনামির স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া দৈত্যাকার মাছ যা ভূমিকম্পের মাছ বলেই পরিচিত।
কিন্তু কি এমন মাছ যা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো!! এই মাছটি আসলে “ওর ফিশ”, যা লম্বায় প্রায় 13 ফুট। রুপালি রঙের এই মাছটি সঙ্গে হাঙরের কিছু সাদৃশ্য আছে , এর মুখের আদল অনেকটা হাঙরের মতোন। কিন্তু এর সঙ্গে বিপর্যয়ের কি সম্পর্ক?? সামুদ্রিক মাছ হওয়ায় একে উপকূলে খুব একটা দেখা যায়না শেষ দেখা গেছিল 2011 সালের মার্চ মাসে। ঠিক যে এবার জাপানে ভয়াবহ কম্পন আর সুনামি হয়েছিল।
2011 সালে সেই বিপর্যয়ের কথা ভুলতে পারিনি কেউ। রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে সমুদ্রের 40 মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেছিল অনেকগুলো দ্বীপ। সেদিন যেন সমুদ্র দানবীয় রূপ ধারণ করেছিল আর তার কবলে পড়ে প্রান হারিয়েছিল 10 হাজার মানুষ। শুধু তাই নয় এই সুনামির হাত ধরে ফুকুশিমা পরমানু প্রকল্পে এক বিপদ ঘটে। নিউক্লিয়ার চুল্লি ফুটো হয়ে সেখানের বিষাক্ত পারমাণবিক গ্যাসও প্রান কেড়েছিল অনেকের। একটা মুহুর্তে পাল্টে গিয়েছিল চেনাছক। ওই দিনের ভয়াবহতা আজও মানুষের মনে স্পষ্ট।
নয় বছর পর ফের সেই স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা ওর ফিস। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামে দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করে সৈকতের ধারে। তারপর সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ছড়িয়েছে ত্রাস। এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয়রা।