ফের বিতর্কের মুখে পড়লেন পাকিস্তানি প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। এর আগেও তিনি বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন যদিও। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ভারত সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে এর আগেও তিনি পড়েছিলেন ভারতীয় রোষের মুখে। সহ খেলোয়াড় দানিশ কানোরিয়ার সমর্থনে যদিও তা একটু থিতু হয়েছিলো। তবে ফের বিদ্বেষের আগুন জ্বাললেন শোয়েব।
তিনি বলেন, গজওয়া-ই-হিন্দের স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে, হবেই। মুসলিমরা পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর দখল করবে। তারপর শুরু হবে ভারতে আধিপত্য স্থাপনের যাত্রা। মুসলিম ধর্মের প্রাচীন এই চিন্তাধারায় শোয়েবকে সমর্থন করেছেন অধিকাংশ পাকিস্তানি জনগণ। যার মধ্যে শিক্ষিত সমাজও আছে, ভারতের পক্ষে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে যা অত্যন্ত ভয়াবহ।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিতর্কিত বক্তব্যটিতে শোয়েব পাকিস্তানের এক মহিলা সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেন, তাঁদের প্রাচীন সাহিত্যের গজওয়া- ই-হিন্দের স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য তিনি তাঁর মুসলিম ভাইদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। ওইদিন রক্তে লাল হয়ে ওঠা অ্যাটক নদীর জলের উপর দিয়ে মুসলিম ধর্ম আধিপত্য স্থাপন করবে। আফগানিস্তান থেকে অ্যাটকে পৌঁছে সেনাদল আসবে উজবেকিস্তান ও আরব থেকেও। তারপর আফগানিস্তান এবং খোরসান থেকে পাকিস্তানের লাহোর হয়ে কাশ্মীর দখল করবে তারা। আগে মুসলিমরা কাশ্মীর দখল করবে। তারপর আক্রমণের তীর পড়বে বাকি ভারতের উপর।
"Ghazwa e Hind is mentioned in our sacred books. We will first capture Kashmir and then invade India from all sides for Ghazwa e Hind"
– Shoaib Akhtar (descendant of a Hindu Gujjar)
After all cricket & art have no boundaries. After Ghazwa e Hind, India will have no boundaries! pic.twitter.com/sRlYml6xow
— Pakistan Untold (@pakistan_untold) December 18, 2020
তাঁর এই বীভৎস স্বপ্নে চমকে উঠেছেন বাকি বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। পাকিস্তানের শিক্ষিত সমাজ যেভাবে তাঁকে সমর্থন করেছেন তা দেখেও অবাক সকলে। ২১ শতকে দাঁড়িয়েও এই ঘৃণ্য মানসিকতা পোষণ করেন কিভাবে, তা ভেবেই অবাক বিশ্বনাগরিকরা। এমনকি পাকিস্তানি সরকার পর্যন্ত জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, ভারত আক্রমণের জন্য। তা কোথাও গিয়ে শোয়েবের এই মতামতকেই সমর্থন করছেনা তো? চিন্তায় ভারতীয়রা, তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষরাও।