একদিকে করোনা অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একসঙ্গে দুটোকে সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। করোনা আতঙ্কের মাঝেই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গোটা রাজ্যকে নড়িয়ে দিয়েছিলো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। তার জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ বাড়ি, ফসল, এবং সবশেষে মানুষ।
আর সেই সব মানুষদের আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে, সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৯ শে মে মমতা ব্যানার্জি, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করেন। আর ঘোষনা করার সঙ্গে সঙ্গেই এক লাখ মানুষের একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর তার ঠিক চারদিনের মাথায় আর ৫ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে, বাড়ি সারানোর টাকা। প্রায় ২৩ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দেওয়া হয়েছে ফসল খয়রাতির টাকা। দেওয়া হয়েছে, ২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষির টাকা। সর্বমোট ১৪৪৪ কোটি টাকা তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণের ১৩৫০ কোটি টাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ক্ষতিপূরণের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৪৪৪ কোটি টাকা ছেড়েছে সরকার।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “করোনা মোকাবিলায় যখন আমরা লড়ে যাচ্ছি, তখনই আমফান ঝড় আমাদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল। ভাঙ্গা বাড়ি, ধসে পড়া কৃষি, মৎস্যচাষ আমাদের অনভিপ্রেত ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে গেল।”