লকডাউন এরপর রাস্তায় বাস চলা নিয়ে প্রচুর অরাজকতা তৈরী হয় সরকারও বাস মালিকদের মধ্যে। সরকার বাস চালানোর জন্য যে নির্দেশনামা জারি করে দিয়েছিল বাসমালিকদের, তাতে দেখা গিয়েছিল এক প্রকার ক্ষতির মুখে পড়তে হতো বাস মালিকদের। বাস মালিকরা বাস চালানোর ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানোর আবেদন জানালে, সে ব্যাপারে সরকার কোনো রকম আলোকপাত করেনি। এর ফলে সাধারণভাবে বাস চলার সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও ক্ষতির কথা ভেবে বাস রাস্তায় নামায়নি বাস মালিকরা।
বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল সংশয়। এরপরে অবশ্য বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ন্যূনতম ভাড়া কত হবে তা জানিয়ে দেয় সরকার। টানা দু’মাস লকডাউন থাকায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বাস সংগঠনগুলি। এই কারণেই তারা পুরনো ভাড়ায় বাস রাস্তায় না নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তার উপর আবার কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস।
যদিও এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন বাসে যতগুলো সিট রয়েছে, ততজন যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে বেসরকারি বাস। যদিও এই নির্দেশের কোন সুরাহা মেলেনি এদিন। এদিন বিভিন্ন বাস সংগঠন মালিকদের বৈঠক ছিল তাতে বাস মালিকরা সিদ্ধান্ত নেয় যে পুরনো ভাড়ায় কোনভাবেই আগামী সোমবার থেকে রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব হবে না। তাই এবার ভাড়ার পরিমাণ বাড়বে কি না তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।