পায়েল গাঙ্গুলি: ভারত-চিন সংঘর্ষের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে ভারত। সীমান্তে এখনো চিনের সঙ্গে উত্তেজনা অব্যাহত। তবে, কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারত। এবার সেনাদের শক্তি বাড়িয়ে শত্রু দমনে হাজির অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ‘ধ্রুবাস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র।
এই ক্ষেপনাস্ত্র সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি। উল্লেখযোগ্য বিষয় ভারতের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটির শত্রুকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। এর ক্ষমতা ৪ কিমি পর্যন্ত। অন্যদিকে ধ্রুব হেলিকপ্টারও পুরোপুরি দেশীয় হেলিকপ্টার। নির্দিষ্ট এলাকায় যে কোনও ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সক্ষম এই মিসাইল। গত ১৫-১৬ জুলাই ওড়িশার বালাসোরে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পরীক্ষা চালানো হয়।
ডিআরডিও-র ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ‘ধ্রুবাস্ত্র ‘তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম। জানা যাচ্ছে, দিন কিম্বা রাত যে কোনও আবহাওয়া যেকোনও পরিস্থিতিতে এই মিসাইল কাজ করতে সক্ষম। তবে, না বললেই নয় হেলিকপ্টারে ব্যবহার করার কথা হলেও যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা হেলিকপ্টার ছাড়াই করা হয়েছে। আগে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ছিল নাগ। যার বর্তমান নাম ধ্রুবাস্ত্র করা হয়েছে।
ভারতের এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলির জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে লড়াইয়ের জন্য দেশের সেনাবাহিনীকে প্রতিদিন শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। এবার সেনার হাতে এল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ‘ধ্রুবাস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র। সময় এলে শত্রুকে যাতে ভারত সঠিক উচিত শিক্ষা দিতে পারে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য লদাখ সীমান্তে ইতিমধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান রাফাল ও MiG-29k মোতায়েন করার কথা ঘোষণা কড়া হয়েছে।