করোনার মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের উদ্দেশ্য ভাষন রাখলেন অমিত শাহ। আর এই সভা সম্পূর্ণ হলো টেকনোলজির মাধ্যমে, সেই জন্য ধন্যবাদ দিতে ভুলেনি নরেন্দ্র মোদীকেও। এদিন অমিত শাহ বলেন, করোনা ভাইরাস বিজেপিকে আটকাতে পারবে না, এবারে দেশজুড়ে ৩০৩ টি আসন পেলেও তার কাছে বাংলার ১৮টি আসন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ১৮ কি আসন বাংলার মানুষের আশীর্বাদ। তারা শক্তি দিয়েছে বাংলায় বিজেপিকে কিছু করার জন্য। এছাড়াও তার স্পষ্ট বার্তা, গোটা দেশে যখন আইন রয়েছে, আইন কাজ করছে, বাংলাতে তার উল্টো। বিজেপি ফের একবার সোনার বাংলা বানাতে চায়।
অমিত শাহ এদিন বলেন, ভারতের ইতিহাস যখন লেখা হবে তখন এই ভার্চুয়াল জনসভার কথাও উল্লেখ করা হবে। এদিন ৭০ হাজার LED স্ক্রিন বাংলায় লাগানো হয়েছিলো যার কারনে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ ও জানিয়েছেন তিনি। ৬ বছর ধরে গরিবদের জন্য কাজ করছে আমাদের সরকার। জনধন যোজনার ৩১ কোটি অ্যাকাউন্ট টাকা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোদীর আয়ুষ্মান ভারতে ৫০ কোটি ভারতীয় উপকৃত হয়েছেন।
বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত চালু হওয়ার, তার গলায় শোনা গেলো হতাশার কথা। তিনি বলেন, বাংলার গরিবদের কি চিকিৎসার অধিকার নেই? তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। এছাড়াও তিনি জোর গলায় বলেন, বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার ১ মিনিটের মধ্যেই চালু করা হবে আয়ুষ্মান ভারত। গরীব মানুষদের উজ্জ্বলা প্রকল্পে আড়াই কোটি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি গ্যাস।
এদিন তার গলায় শোনা গেছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, কাশ্মীরে ৩৭০ এর বিলোপ, অযোধ্যায় রামমন্দির মামলা, তিন তালাকের সমাপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা। এদিনের ভার্চুয়াল জনসভায় অমিত শাহ জানান, দেশের সাড়ে ৯ কোটি চাষীকে মোট ৭২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক চাষীকে বছরে ৬০০০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন মোদী কিন্তু মমতা ব্যানার্জি বাংলার চাষীদের সেই টাকা থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি মমতা ব্যানার্জিকে প্রশ্ন ছুড়েন, গরিব চাষিদের সঙ্গে রাজনীতি কেন করছেন? রাজনীতি করার অনেক অনেট বিষয় রয়েছে।
করোনা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, দেশে করোনা মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাইরে থেকে নিজের রাজ্যে ফেরানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলার শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে বাধা দেওয়া হচ্ছ।