নিউজরাজ্য

তিনদিনের মধ্যে জমা দিতে হবে অ্যাকাউন্ট নম্বর, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে চরম সমস‍্যায় শিক্ষার্থীরা

Advertisement
Advertisement

প্রথমে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে ট্যাবের বদলে প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠানো হবে৷ কিন্তু এই টাকা পাঠানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সমস্যার মুখে কয়েক লাখ পড়ুয়া৷ কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক একবার,

১. রাজ্যের সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিন দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট খুলে সকলের পক্ষে তার তথ্য জমা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

২. ব্যাঙ্কগুলি মার্জ হওয়ার পর প্রায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক নিজেদের IFSC কোডে বদল এনেছে। প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় আপডেট করা নেই।

৩. শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই বাড়ির থেকে অনেক দূরের স্কুলে আবাসিক হিসেবে পড়াশোনা করতেন, তারা করোনা অতিমারীর পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে, মাত্র তিন দিনের মধ্যে স্কুলে এসে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে।

৪. সরকারি পোর্টালের গতি স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত শ্লথ হওয়ায় এতোজন শিক্ষার্থীর দেওয়া প্রতিটি তথ্য আপলোড করতে অনেক বেশি সময় লাগবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে জানান, সাড়ে নয় লাখ ছাত্র ছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার যে ঘোষণা রাজ্য সরকারের তরফে করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। টেন্ডার ডেকে হলেও খুব বেশি এক থেকে দেড় লাখ ট্যাবের বন্দোবস্ত করা যেতে পারে এ সময়ের মধ্যে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চীনা ট্যাব কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই কারনেই, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই এই টাকা পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের একাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার দাবি রাখছে রাজ্য সরকার । সেই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেই মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিতে পারবে বলে সরকারের বক্তব্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনায় স্কুল বন্ধের কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস অনেকটাই কম করা হয়েছে এবং নির্ধারিত পরীক্ষা জুন মাস নাগাদ বলেই আপাতত জানানো হয়েছে। কাজেই জুন অবধি সময় রয়েছে সরকারের কাছে।

Related Articles