যুগ পাল্টে গিয়েছে কিন্তু পাল্টায়নি মানুষের মানসিকতা। এখনও অনেকেই মেয়েদেরকে বোঝা হিসাবে মনে করে। আর তার জন্য গর্ভবতী স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা থেকে স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানের কথা চিন্তা না করেই ভয়নক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আর আবারও সেই একই কারণে নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের বরেলি।
সবাই জানে ভারতে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত অপরাধ ৷ কোন নারী তার গর্ভে মেয়ে সন্তান নাকি পুরুষ সন্তান ধারণ করেছে তা আগে থেকে যানা অপরাধ। সবাই এই কথাটা জেনেও বারবার সেই একই অপরাধ করে। আর সেই একই অন্যায় করলো উত্তরপ্রদেশের বরেলির পান্নালাল।
পান্নালালের পাঁচটি মেয়ে রয়েছে। পর পর পাঁচটি মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন পান্নালাল। স্ত্রীর উপর অত্যাচার থেকে দুর্ব্যবহার কোনওটাই করতে ছাড়েনি ওই ব্যক্তি। এইসবের মাঝেই ষষ্ঠবার গর্ভবতী হয় পান্নালালের স্ত্রী। কিন্তু এইবার তাকে জানতেই হবে তার গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভে মেয়ে আছে নাকি ছেলে। সেটা জানার জন্য এক প্রকার পাগল হয়ে উঠেছিল সে। কোনও আইনি পদ্ধতিতে নিশ্চিতভাবে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের উপায় খুঁজে পায়না। আর সেই উপায় খুঁজে না পেয়েই বেঁছে নিলো এক নৃশংস পথ।
শনিবার রাতে স্ত্রীর গর্ভে কন্যা সন্তান আছে নাকি পুত্র সন্তান আছে তা জানতে সোজা মাংস কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট একটানে চিরে ফেলেন পান্নালাল৷ অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে তার স্ত্রী, রক্তে ভেসে যায় ঘর৷ চেঁচামেচির আওয়াজে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় প্রতিবেশীরা। সময় নষ্ট না করে প্রতিবেশীরাই ওই অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। বর্তমানে পান্নালালের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অবস্থা সংকটজনক৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পান্নালালকে ৷