উড়িষ্যার পুরীতে এমন এক ব্যাক্তির সন্ধান মিললো যার ঝুলিতে রয়েছে বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কিন্তু হাতে ভিক্ষার থালা। পুরীর মন্দিরের সামনে লাল ধুতি, লাল উত্তরীয়, মাথায় হলুদ পাগড়ি বেঁধে এবং মুখ ভর্তি দাড়ি নিয়ে পুরো সন্ন্যাসী বেশে ভিক্ষা করে ওই ব্যাক্তি। বহুদিন ধরে পুরীর মন্দিরের সামনে ভিক্ষা করেন তিনি।
সেদিন রিকশাবালার সাথে তার বচসা না বাঁধে আর না জানা যায় তার আসল পরিচয়। রিকশাবালার সাথে ওই ব্যাক্তির বচসা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। তারপর ওই ব্যক্তি রিকশাবালার বিরুদ্ধে ডাইরি করতে থানায় যান। সেখানে তার দক্ষ এবং নিখুঁত ইংরেজি লেখা দেখে সকলে হতবাক হয়ে যান। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, তিনি একজন বিটেক ইঞ্জিনিয়ার।
কিন্তু একজন বিটেক ইঞ্জিনিয়ার হবার পরেও তিনি কেনো পুরীর মন্দিরের সামনে ভিক্ষা করে দিন কাটাচ্ছেন। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে জানা যায় ওই ব্যাক্তির আসল পরিচয়। ওই ব্যাক্তির নাম গিরিজা সংকর মিশ্র, ভুবনেশ্বরের এক বড়োলোক পরিবারেরই ছেলে তিনি। ওই ব্যাক্তির বাবা ছিলেন সেখানকার স্থানীয় ডিএসপি।
ওই ব্যাক্তি জানান, বিটেক করার পর তিনি মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ হবার জন্য তার আজ এই অবস্থা। তিনি বলেন, তার বাবা অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন এবং পুরীর মন্দিরের সামনে ভিক্ষা শুরু করেন। তারপর থেকে কেউ খেতে দিলে খান নাহলে উপবাসেই কাটে দিন।