আন্তর্জাতিকনিউজ

পৃথিবীকে বাঁচাতে অত্যাধুনিক যন্ত্র আবিষ্কার করলো নাসা

Advertisement
Advertisement

ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন সারা পৃথিবীর মানুষ খাবি খাচ্ছে তখন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন পৃথিবীর খুব কাছে ধেয়ে আসতে চলেছে বিপদজনক এক গ্রহাণু। যদিও এই গ্রহাণুটি সরাসরি পৃথিবীর ওপর কোনো ধরনের আঘাত হানার আশঙ্কা নেই তাও আশ্বস্ত করেছিলেন। এই গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছিল 1998 OR2. সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও মহাকাশবিজ্ঞানীরা সেই থেকেই গ্রহাণু গতিপথ চিহ্নিত করে নজর রাখছিলেন। তাদের মতে এই গ্রহের কক্ষপথ দেখে বোঝা যাচ্ছে আগামী 200 বছরের মধ্যে পৃথিবীর সাথে গ্রহাণু টক্কর লাগবেনা। তবে 2079 সালে ফের পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে।

বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর দিকে নানান গ্রহাণু মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসে। তাই এই মহাজাগতিক সংঘর্ষ রুখতে নিয়মিত গবেষণা চলে। পৃথিবীর অত্যন্ত অভিকর্ষ বলের টান অনেকটাই বাকিয়ে চুকিয়ে দেয় এই ধরনের গ্রহাণুগুলোর কক্ষপথ। তবুও ঘাতক গ্রহাণুর মোকাবিলায় NASA এর নতুন হাতিয়ার Dart পদ্ধতি। 2021 সালের জুলাইয়ে লঞ্চ করতে চলেছে NASA DART DOUBLE ASTEROID REDIRECTION TEST MISSON. এর মাধ্যমে হাফটন এর একটি মহাকাশযানকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোন গ্রহানুর উদ্দেশ্যে ছোড়া হবে। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে দুই বস্তুর সংঘর্ষের ফলে দিক পরিবর্তন করবে গ্রহাণুটির।

2022 সালের অক্টোবরের একটি পরীক্ষা করা হবে যেখানে পৃথিবী থেকে 70 লাখ মাইল দূরে ডিডিমুন নামক এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে NASA DART পদ্ধতিতে পাঠানো এক মহাকাশযানের। পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকলেও ডিডিমুন গ্রহাণুকে বিপদজনক আখ্যা দিচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত সংঘর্ষের আগে মহাকাশযান থেকে একটি ক্যামেরা বেরিয়ে আসবে যা দুই বস্তুর সংঘর্ষ রেকর্ড করে তথ্য জোগাড় করবে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles