দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতা তাপমাত্রা পারদে ৩৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। একদিকে করোনার থাবা, অন্যদিকে প্যাচপ্যাচে অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী।
তবে আগামী সোমবার থেকে এই প্যাচপেচে গরমের রেশ কেটে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নামবে বলে আশা করছে আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু এই তাপমাত্রার ওঠানামার খেলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক বিজ্ঞানীদের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের ভাইরাসের দাপট বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিত্সকবিদরা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলে ইনফ্লুয়েঞ্জা সহ বেশ কিছু ভাইরাসের প্রকোপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা। একেই করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য রোগীরা বাধা পাচ্ছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। তার মধ্যে যদি আবার ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভার ও অন্যান্য অসুখ বাসা বাঁধে তবে সেটা পরিস্থিতি আরও সঙ্কটময় করে তুলবে। করোনার উপসর্গ ও অন্যান্য সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গের মধ্যে স্বভাবগত মিল থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়বে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।