নিউজরাজ্য

কড়া লকডাউনে দোকান খোলার অনুমতি! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement
Advertisement

আজ দেশের লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেইমতো বৈঠকও হয়।‌ এদিন বৈঠক শেষে কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে সবর হলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ জানান, কোন আলোচনা ছাড়াই একটি করে সার্কুলার দিয়ে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখে বলছেন লকডাউন কঠোর করতে হবে, অথচ সমস্ত দোকান বাজার খোলার অনুমতিও দিয়ে দিচ্ছেন তার সাথে।

এরকম আধাআধি সিদ্ধান্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে কি বলা হবে? সাধারণ মানুষকে কিভাবে বলা হবে, দোকানে যাবেন না? বা দোকানদারদেরই বা কিভাবে বলা হবে, দোকান খুলবেন না? প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের সাথে স্বচ্ছভাবে কিছুই আলোচনা করছেন না। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনবসতি যেখানে বেশি, যেখানে এত ট্রেন চলে, যে শহরে কোটি কোটি মানুষের বসবাস সেখানে রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। সেই তুলনায় মুম্বাই, আমেদাবাদ শহরের থেকে বাংলার পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ‌বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যে তুলনায় অনেকটাই কম।

যদিও কেন্দ্র সে বিষয়ে কোন কৃতিত্ব দেবে না বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। বাংলায় ৩ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের বাড়িতে সার্ভে করা হয়েছে যা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। বাংলা ছাড়া এই কাজ আর কোন রাজ্য করতে পারেনি। রাজ্যকে কেন্দ্র কোনো আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এরমধ্যে কেন্দ্র আবার দল পাঠিয়ে রাজ্যের সাথে ঝগড়া করতে চাইছে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলার মানুষকে নিশ্চিন্তে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে বাংলা যা করছে তাতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সবাই সুস্থ থাকুন সাবধানে থাকুন। ২১শে মে পর্যন্ত লক দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য লকডাউন বাড়ুক বা না বাড়ুক, তবুও ২১শে মে পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাই সবথেকে বেশি নিরাপদ। এখনই বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles