ভালোবাসা, অভিমান, শোক প্রত্যেকটা মানুষের মতো এই অনুভূতিগুলো প্রত্যেক প্রানীদের মধ্যেও দেখা যায়। তারাও ভালোবাসা বোঝে, অনেক সময় দেখা যায় নিজের প্রভুকে বাচাতে আত্মহুতি দিয়েছে কোনো পোষ্য। যাদের পোষ্য আছে তারা জানেন কতটা আদরপ্রিয় হয় তারা। ঘটনাটি 13 বছর আগের, কানপুরের এক হাসপাতালের বাইরে কাদছিল একটি কুকুর ছানা। আশেপাশের বাকি লোকেরা কুকুরছানাকে যন্ত্রণা বুঝতে চাইনি বরঞ্চ এড়িয়ে যাচ্ছিল। তবে ওই কুকুরছানাটির দিকে চোখ যায় ডাক্তার অনিতা রাজ এর। গায়ে পোকা ও মরণাপন্ন অবস্থা তখন ছানাটির। সেই কুকুরছানাটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এনে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন অনিতা রাজ। তবে কুকুরটির উপর মায়া পড়ে যাওয়ায় বাড়ির সদস্য হয়ে গিয়েছিল ছানাটি।
13 বছর ধরে তাদের ভালোবাসা অটুট ছিল। ডাক্তার অনিতা রাজ ভালোবেসে ওর নাম রেখেছিল জয়া। কানপুরের মালিকপুরাম এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। তবে কয়েক মাস ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন অনিতা 7 দিন আগে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। অনিতার মৃতদেহ বাড়িতে আনার পর কষ্টে ছটফট করতে থাকে জয়া। কয়েকমিনিট পরেই বাড়ি চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেয় কুকুরটি। এই ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে
প্রিয় মনিবের চলে যাওয়া পোষ্যটি মেনে নিতে পারেনি। ডাক্তার অনিতা রাজের মৃত দেহের পাশেই রাখা হয়েছিল জয়াকে। তারপর বাড়ির একটি জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এই একটি ঘটনা আবার প্রমাণ করে দিল মানুষ মানুষকে ভুলে গেলেও পোষ্যরা তার মনিবকে নিজের জীবন দিয়ে ভালোবাসে।