প্রায় তিন মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে সুশান্ত হারা সিনে দুনিয়া। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি কিভাবে মৃত্যু হলো সুশান্ত সিং রাজপুতের। যদিও এরই মাঝে সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে মাদক যোগের হদিশ পায় তদন্তকারীরা। এনসিবির জেরার মুখে বলিউডের তাবড় তাবড় সেলেবরা। আর এবার সেই জেরাতেই সুশান্ত প্রসঙ্গে বেরিয়ে এল এক বিস্ফোরক তথ্য।
ইতিমধ্যেই সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে মাদক যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। বর্তমানে জেলেই রয়েছে অভিনেত্রী। এইসবের মাঝেই সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নেমে খুলে গিয়েছে বলিউডের এক বন্ধ থাকা পর্দা। আর সেই তালিকায় নাম জড়িয়েছে শ্রদ্ধা কাপুর, দীপিকা থেকে সেইফ আলি খান কন্যা সারা আলি খানেরও। এদিন এনসিবির জেরার মুখে পড়েন এই তিন অভিনেত্রী।
শনিবার সঠিক সময় মত এনসিবির দফতরে পৌঁছে যান সারা আলি খান। অন্যদিকে এদিন এনসিবির দফতরে পৌঁছান শ্রদ্ধা কাপুরও। সারা এবং শ্রদ্ধা এই দুই অভিনেত্রীই সুশান্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। আর এনসিবির জেরায় তারা দুজনেই দাবি করে শুটিং-র মাঝে নাকি নিজের ভ্যানিটি ভ্যানে মাদক সেবন করতেন সুশান্ত।
পাশাপাশি এদিন এনসিবির জেরার মুখে পড়েন দীপিকা। ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ একটি ছোট গাড়িতে চেপে কোলাবায় এনসিবির সদর দফতরে আসেন দীপিকা। অভিনেত্রী তাজ হোটেল থেকে এনসিবির-র গেস্ট হাউসে হাজির হন বলে খবর। এনসিবির জেরার মুখে মাদক নিয়ে মুখ খোলেন দীপিকা। জানা যাচ্ছে, এদিন দীপিকা ও তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে একসঙ্গেই জেরা করা হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, অভিনেত্রী ও তার ম্যানেজারের কথাবার্তায় অসঙ্গতি রয়েছে।এমনকি প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তরও দিচ্ছেন না। বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ তেই দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
তবে, এরই মাঝে এনসিবির জেরায় মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট-র কথা মেনে নেন দীপিকা। ২০১৭ সালের এক
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ২০২০ তে কাল ঘাম ছুটিয়ে দেয় দীপিকার। সূত্রের খবর, সে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মাদক মাদক সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতো। আর সেই গ্রুপের অ্যাডিমিন ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলেন, করিশ্মা প্রকাশ, জয়া সাহা, ও দীপিকা। কিছুদিন আগেই তদন্তকারীরা এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটের হদিশ পায়। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই বিভিন্নজনের মধ্যে মাদক নিয়ে কথোপকথন হতো। সেখানেই ‘ডি’ নামে একজন মাদক চেয়ে ম্যাসেজ করে। সেখানে তিনি ‘কে’ নামক এক ব্যক্তিকে মাদকের খোঁজ করতে বলেন। তিনি আবার অমিত নামক একজনকে ড্রাগ সরবরাহকারির খোঁজও দেন। সেই সূত্র ধরেই বর্তমানে এগোচ্ছে তদন্তকারীরা।