বিয়ের পর ভার্জিনিটি পরীক্ষায় ফেল নতুন বউ, তারপর যা করলেন স্বামী…

বর্তমানে পৃথিবী এগিয়ে গিয়েছে সমস্ত দিক থেকে সেখানে এখনো প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতনই কিছু মানুষ এখনো নিজেদের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে পারেনি। ধীরে ধীরে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে তার সাথেই সমস্ত অবিশ্বাস এবং কুসংস্কার কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে আলোর দিকে। বর্তমানে সকলেই উচ্চ মানসিকতাপূর্ন তবে এখনো এমন কিছু জনগণ রয়েছেন যাদের মানসিকতা হাজার চেষ্টা করলেও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
নারী অধিকার বা নারী সম্মানের কথা আমরা যতই চাওর করে বলি না কেন এখনো বহু এমন জায়গা রয়েছে যেখানে মেয়েদের সম্মান শুধুমাত্র আটকে রয়েছে তাদের ভার্জিনিটি উপর। আর তেমনই এক ঘটনা উঠে এলো আমাদের সামনে, যা শুনলে যদি আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ হন তাহলে রীতিমতন তাজ্জব হবেন।
শুধুমাত্র ভার্জিনিটি টেস্টে ফেল হওয়াতে দুই বোনকে বের করে দেওয়া হলো তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে। শুধু তাই নয় এমনকি বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা পর্যন্ত রজু করার আর্জি করা হলো পঞ্চায়েতের কাছে, আর দুর্ভাগ্যবশত পঞ্চায়েতও তাতে মত দিয়েছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে।
বিয়ের পর প্রথম রাতেই দুই বোনকে সম্মুখীন হতে হয়েছে ভার্জিনিটি টেস্ট এর আর যাতে তারা ফেল হওয়াতে অকথ্য অত্যাচার এর শিকার হতে হয়েছে এই দুই মহিলাকে। তার স্বামীরা পঞ্চায়েতে তালাকের আরজি করলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও সেই আরজি মঞ্জুর করে নেওয়া হয়।
ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ওই দুই মহিলার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোক এবং পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মহারাষ্ট্র সামাজিক বয়কট (প্রতিরোধ, নিষিদ্ধকরণ ও প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওই দুই মহিলার অভিযোগ বিয়ের পরে দুজনকে দুটি আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় কুমারিত্ব পরীক্ষা করার জন্য। বলা হয় এটাই নাকি তাদের পরম্পরা কুমারিত্ব পরীক্ষা ফেল হলে ওই দুই মহিলাকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। শ্বশুরবাড়ি তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় ওই দুই মহিলার আগে থেকেই অন্য পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।