করোনা কবলিত কঠিন পরিস্থিতিতে যখন দেশবাসী ভয়ে কাঁপছে সেই সময় এক আনন্দের খবর ঘোষণা করল স্যামসাং। আর 5G নয়। কারণ 5G’র দিন এবার শেষ । সমস্ত টেলিকম সংস্থা যখন ইন্টারনেট পরিষেবা 5G নিয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে সেই সময়ে চমকপ্রদভাবে স্যামসাং-র 6G পরিষেবার গবেষণাপত্র আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বিশ্বের দরবারে।
বর্তমান যুগে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে টেকনোলজি। অন্যান্য টেলিকম সংস্থা যখন 5G ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে চিন্তিত সেই সময় সবাইকে অবাক করে স্যামসাং 6G এর বিষয়ে তাদের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করলো।
স্যামসাং মনে করছে ২০২৮ সালের মধ্যেই এই 6G প্রযুক্তি বাণিজ্যিক ভাবে চলে আসতে পারে। তবে,
ঠিকভাবে 5G পরিষেবা চালু হতে বিভিন্ন দেশে আরও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। কারন বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ 5G – র টেস্টিং এর ক্ষেত্রে ব্যস্ত। স্যামসাং শুধু 6G প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যস্ত না। এই 6G প্রযুক্তি ওয়্যারলেস টেকনোলজির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। স্যামসাং প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই বলা হয়েছ। গবেষণাপত্র আরও বলা হয়েছে, ওয়্যারলেস টেকনোলজি ছাড়াও অটোমেশন,রোবটিক্স এমনকি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নানান ক্ষেত্রে 6G প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে থাকবে। 6G প্রযুক্তির দ্বারা মানুষ আরও বেশি ওয়ারলেস নির্ভর হয়ে পড়বে বলে মনে করছে স্যামসাং। 5G তে যে সমস্ত সুবিধা মেলেনি সেই সমস্ত সুবিধা 6G তে পাওয়া যাবে দাবি স্যামসাংয়-র।
তবে, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ 5G করতে ব্যস্ত। ফলে 6G করতে আরও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠছে ২০২৮ সালের মধ্যে 6G পরিষেবা আদতে কি চালু হবে! যদিও তা সময় বলবে।