পায়েল গাঙ্গুলি: বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল হোক বা বিরোধী দল সবার চোখই ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে। তবে, যেমন কথা তেমন কাজ, কথা রাখল রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পাল্টা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন করোনা কবলিত কঠিন পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রাজ্যবাসীকে দেওয়া হবে বিনামূল্যে রেশন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা অনুযায়ী রাজ্যবাসীর মুখে হাঁসি ফুটিয়ে অবশেষে জারি হল আগামী বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকা।
করোনা সংক্রমনের জেরে দেশ তথা রাজ্যজুড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লকডাউনের। কিন্তু এই লকডাউনের জেরে অর্থসংকটে ভোগে বহু মানুষ। অনেকের বাড়িতেই চড়ছিল না হাঁড়ি। এমন পরিস্থিতিতে গত ৩০ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান,’প্রধানমন্ত্রী গরিব করলেন প্রকল্পে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাবেন’। আর এর পরেই ওই দিনই বিকেলবেলা সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা নভেম্বর পর্যন্ত দিলে দিক, কিন্তু আমরা আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেব। আমি চাই আমার রাজ্যের মানুষকে বাঁচুক’। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুধু কথার কথাই না তা ফের প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকার।
বুধবার ২২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রাজ্যের মানুষের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। যদিও লকডাউনের জেরে ২৬ মার্চ থেকেই বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত সকল রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। যে পদ্ধতিতে রাজ্যবাসী রেশন সংগ্রহ করে ঠিক সেই রকম ভাবেই রেশন সংগ্রহ করবেন তারা।
তবে এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছর শেষ ২১ জুলাই পালন করল তৃণমূল। কিন্তু করোনা কাঁটায় চলতি বছর ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে ২১ জুলাই পালন করতে হয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। কিন্তু, সেখান থেকেই আগামী বছর ঘাসফুল শিবির যদি পুনরায় রাজ্য শাসন কায়েম করতে পারেন তাহলে জনগণের উদ্দেশ্যে কি করতে পারে সে কথাও জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-র সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুংকার দিয়েছেন ‘আমরা যদি ক্ষমতায় থাকি, তাহলে শুধু একবছর নয়। বাংলার মানুষ সারাজীবন ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা পাবে। টাকা কোথা থেকে আসবে সে চিন্তা করতে হবে না কাউকে। মানুষের জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করব’।