খেলানিউজ

ব্রিসবেনের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিলো ভারত, অজিদের অহংকার মাটিতে মিশিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া

Advertisement
Advertisement

মঙ্গলবার ইতিহাস রচনা করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ধুরন্ধর অস্ট্রেলিয়া ব্রিসবেনের গাব্বায় ১৯৮৮ সালে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল, তারপর থেকেই এই গাব্বা অজিদের হারানোর জন্য দুর্ভেদ্য দুর্গতে পরিণত হয়। তবে বর্তমানেও অজিদের সোনালী অতীত নিয়ে দম্ভ, অহংকার রয়েই গেছে। এবার সেই অহংকার ভেঙে, গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট দল।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুরন্তভাবে টেস্ট সিরিজে জয়লাভ করল ভারত। প্রথম টেস্টে অ্যাডিলেডে গোহারা হারার পর মেলবোর্নে ভারত অবিশ্বাস্যভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। তার পর সিডনিতে চোট নিয়েও হনুমা বিহারি এবং অশ্বিনের লড়াকু ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস এর উপর ভর করে হারা ম্যাচ ড্র করে ভারত। এবং বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি নামক সিরিজের শেষ টেস্টে অজিদের ডেরায় কলার উঁচিয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন ক্যাপ্টেন রাহানে এবং কোং।

অষ্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল ৩৬৯ রানে। এরপর ভারত জবাবে অল আউট হয়েছিল ৩৩৬ রানে। শার্দুল ও ওয়াশিংটন সুন্দরের লড়াকু ব্যাটিং কাজে দিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে নবাগত মহম্মদ সিরাজ ৫ উইকেট নিয়ে প্রায় একাই অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং লাইন আপকে মাত্র ২৯৬ রানে শেষ করে দেন। সিরাজের থেকে যেন ব্যাটন হাতে নিয়েছিলেন পন্থ, শুভমান, পুজারারা। শেষ ইনিংসে স্টার্ক-হ্যাজেলউড-কামিন্স সহ অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য পেস অ্যাটাককে নাকানি-চোবানি খাইয়ে ছাড়লেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা। হাল না ছেড়ে একের পর এক অস্ত্র বের করেও ফল পেলেন না স্টার্করা।

উল্লেখ্য, চতুর্থ দিনের শেষে মাঠের বাইরে যেন অজিদের হয়ে লড়ছিলেন প্রাক্তন অজি মহারথী শেন ওয়ার্ন। এমনকি জানিয়েছিলেন, গাব্বায় ভারতের জেতা অসম্ভব, এই ব্যাপারে তিনি বাজি লড়তে রাজি। সিডনি টেস্ট-এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং ঠিক এমনই করেছিলেন। কিন্তু টেস্ট শেষের পর হতাশ হয়েছিলেন তিনি। এবার ওয়ার্নের ক্ষেত্রেও তাই হল। আসলে গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট রেকর্ড অদম্য। তাই হয়তো একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়েছিলেন কিংবদন্তি এই প্রাক্তন স্পিনার। শুভমান গিল (৯১), ঋষভ পন্থ (৮৯*), চেতেশ্বর পুজারা (৫৬) রানের সুবাদে শেষ দিনের অন্তিম লগ্নে ৩২৮ রান তাড়া করে জয় পেল ভারতীয় দল। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই জয় এক অবিস্মরনীয় বর্ণনাময় একটা অধ্যায় হিসেবে খোদাই হয়ে থাকবে।

Related Articles