দেশবাসীর সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর “গরিব কল্যাণ যোজনা”! বিশাল আর্থিক সাহায্য বিশ্ব ব্যাংকের
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নাজেহাল অবস্থা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের। এই মোকাবিলায় থমকে গিয়েছে একাংশ মানুষের জীবন। প্রায় ৫০ দিনের কাছাকাছি ভারতে চলছে লকডাউন। ফলে দেশের সমস্ত রোজগার বন্ধ। অর্থনৈতিক সংকটে গোটা দেশ ও দেশবাসী। সমস্ত রকম রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রেরও। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ ঘোষণা করল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই ঘোষণায় বলা হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ভারতকে সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজ হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। ভারত সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রোগ্রামগুলোতে সাহায্য করতে এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিক এবং দেশে গরীব ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর জন্যও এই ঘোষণা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে ভারত কে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরজন্য সরকারের ৪০০ বেশি সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকে প্রযুক্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর জুনেদ আহমেদ জানিয়েছেন, “সামাজিক সুরক্ষায় ভারতের ভারসাম্য ফেরানো এবং শহর ও গ্রামের গরীবদের দিকে নজর দেওয়ার কাজ খুব একটা সহজ নয়”। এছাড়া মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর মিশন’ ভারতের সামাজিক সুরক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে ভারত, জীবন এবং জীবনযাপনের পার্থক্য করতে পারছে না”। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, “ভারতকে দেওয়া এই প্যাকেজ সবথেকে বড় প্যাকেজ। এই প্যাকেজে এর আগে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছে”।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক সব প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক জায়গায় আনতে চায় এবং মানুষকে যাতে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে ছোটাছুটি করতে না হয় তার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক ভারত সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে গত মাসে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক করোনা ভাইরাসের জন্য জরুরি অবস্থায় ১৬০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। প্রথমে ২৫ টি দেশ কে সুরক্ষা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পরে ধীরে ধীরে তা ৪০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘গরিব কল্যাণ যোজনা’ কে কেন্দ্র করে জুনেদ কামাল আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেন, মোদির এই প্রকল্পের দেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে এবং দেশবাসী সুরক্ষায় এই টাকা ভীষণভাবে সাহায্য করবে।