সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন স্বামী নিজেই। ব্যবসায়ী অনিল মাহেনসরিয়া তাঁর স্ত্রী গীতার বিরুদ্ধে তাঁদেরই বড় ছেলে অর্জুনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন বিধাননগর থানায়। ঘটনার পর তদন্ত চালিয়ে পুলিশ তাঁদের সল্টলেকের বাড়ি থেকে একটি পচাগলা মৃতদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
অনিল মাহেনসরিয়ার বক্তব্য, দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকতেন। স্ত্রী গীতার সাথেই সল্টলেকের বাড়িতে থাকতেন দুই ছেলে অর্জুন (২৫), বিদুর (২২) এবং মেয়ে বৈদেহী (২০)। গত বৃহস্পতিবার অনিল গীতাকে ফোন করে জানতে পারেন ২৯ শে অক্টোবর ছেলেমেয়ে সহ রাঁচিতে নিজের বাপের বাড়ি চলে গেছেন তিনি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদুর ও বৈদেহী মায়ের সঙ্গে থাকলেও অর্জুন নিখোঁজ। অথচ, গীতা দাবি করেই গেছেন, অর্জুন তাঁদের সাথেই আছে।
সন্দেহ হওয়ায়, রাজারহাটের বাসিন্দা অনিল মাহেনসরিয়া পূর্ব বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গীতার বিরুদ্ধে। পুলিশ তল্লাসি চালিয়ে সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে বিছানার চাদরে মোড়া একটি লাশের কঙ্কাল পেয়েছে। ফ্ল্যাটের একতলার ঘরের দেওয়ালে আগুনের পোড়া কালো দাগও দেখেছে। ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন গীতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মায়ের সাথে গ্রেফতার হয়েছে ছোটো ছেলে বিদুরও।
ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অর্জুন স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন৷ চলাফেরার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন তিনি৷ অর্জুনের মা গীতা তন্ত্র সাধনায় বিশ্বাস করতেন৷ প্রতিবেশীদের দাবি ওই বাড়িতে নিয়মিত তান্ত্রিকদের যাতায়াত ছিল। বাড়ির বাইরেও ঝোলানো রয়েছে রদ্রাক্ষের মালা৷ আঁকা রয়েছে স্বস্তিক চিহ্ন৷ কঙ্কালটি ফরেনসিক তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সল্টলেকের এ জে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়িটি গীতার নামেই আছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গত দুমাস ধরেই বাড়িটি তালাবন্ধ। কিন্তু অতদিন ধরে পচাগলা লাশের কঙ্কাল থাকলেও কোনো রকম গন্ধ কেন কারো নাকে আসেনি, এটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।