যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অধিকাংশ মানুষ ভাবে মেয়েদের জন্ম কেবল সংসার করার জন্য, একটা ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়ায় মেয়ের বাবার একমাত্র কর্তব্য। যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন পূরন হওয়ার পথে যে হাজার বাধার সম্মুখীন হতে হবে তা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা কেবল হাজারটা সমস্যা সামনে আনতে পারে হারাতে পারেনা কাউকে। জিতে যাওয়ার জন্য জেতার ইচ্ছেটুকু যথেষ্ট। মেধা অপেক্ষা করে না কোনো অনুমতির কোনো বাধার। প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে দেয় অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অদম্য জেদে ঘরে বাইরে এক লড়াইয়ের কাহিনী রয়েছে মিরাটের সঞ্জু রানি ভর্মার জীবনে। ২০১৩ সালে তার মা মারা যান। তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর করছেন। মিরাটের আরজি ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে দিল্লী পৌঁছেছেন, স্বপ্ন তার আরো এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু অপরদিকে তার বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়া নিয়ে শুরু হয় জোর জবরদস্তি।
কিন্তু পরিবারের সিদ্ধান্তে নতজানু না হয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পরিশ্রম করতে থাকেন। এরপর সাত বছর পর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ২০২০ তে বাড়ি ফিরে আসেন। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করে তিনি বর্তমানে সরকারি ট্যাক্স অফিসার।
এই সাত বছরের পথ খুব সহজ ছিল না পরিবারের সমস্যা না থাকলেও শুরু হয় আর্থিক সমস্যা। বাড়ি ছেড়ে ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে বাচ্চাদের পড়িয়ে, একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করে নিজেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য তৈরি করেছেন প্রতিনিয়ত। শরীরে ক্লান্তি এলেও তার মনের জোর, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে।
এখানেই শেষ নয় তিনি এখনো সাফল্যের চূড়ায় উঠতে চান। তার লক্ষ্য এখন জেলা শাসক হওয়ার। দেশের প্রচুর মেয়েকে অনুপ্রাণিত করলেন তিনি।