লকডাউনের সময় থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলি গরীব-অসহায় মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। এই সুন্দর উদ্যোগে সাহায্য করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনগুলিও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে সিপিএমের শ্রমজীবী ক্যান্টিন খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। এখনও চলছে। এরফলে খেতে পারছেন সাধারণ মানুষেরা। তবে এবার সিপিএমের দেখানো পথেই হাঁটল রাজ্যের শাসক দল। হাওড়ায় সস্তার ক্যান্টিন চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস। নাম দেওয়া হয়েছে- ‘মমতার মমতা’।
হাওড়ার ৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চালু হল তৃণমূলের সস্তার ক্যান্টিন ‘মমতার মমতা’। একদম সস্তায় খাবার পাবেন সাধারণ মানুষেরা। আমিষ খালি পাওয়া যাচ্ছে ১৫ ও ২০ টাকায়, আর নিরামিষ খেতে চাইলে পড়বে তার জন্য দিতে হবে মাত্র ১০ টাকা। করোনার জন্য দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে এবং কাজের সুযোগ না থাকায় হাওড়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আর এর মধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তাই এই অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে হাওড়ার সালকিয়ায় বাবু ডাঙ্গা ও বেলগাছিয়া এলাকায় ক্যান্টিন খুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
হাওড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপি মান্না বলেছেন এই কাজের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। দল সারাবছরই মানুষের পাশে থাকে। ক্যান্টিন খোলার অনেক আগেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এর আগে সত্যবলা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য প্রায় দেড় মাস খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই ক্যান্টিনে ২০ টাকায় ডাল, ভাত, সবজি মাছ বা ডিম। ১৫ টাকায় ডাল, ভাত, ভাজা, সবজি ও ডিম এবং এই ক্যান্টিনে ১০ টাকায় ডাল, ভাত ও সবজি পাওয়া যাবে। এখানে সপ্তাহে ৩ দিন নিরামিষ ও ৪ দিন আমিষ পদ রাখা হয়েছে। আর রবিবার মাত্র ২০ টাকায় মিলবে ভাত ও মুরগির মাংস। প্রতিদিন ২৫০ জনের রান্না হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে যে খাবারের জন্য খরচ বেশি হলেও সেই ঘাটতি পূরণের জন্য দলীয় কর্মীরা নিজেরাই সেই অতিরিক্ত খরচ বহন করছেন।