দেশনিউজ

থালায় সাজানো ১১ লক্ষ টাকার পণ, কন‍্যাপক্ষের দেওয়া এতো টাকা পেয়ে যা করলেন পাত্রের বাবা, হতবাক সকলে

Advertisement
Advertisement

সম্ভব হয়নি এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা, এখনও খুবই গুরুত্বের সঙ্গে পনপ্রথা পালন করা হয় বেশ কিছু রাজ্যে৷ এমনকি এই প্রথা পালন করা হয় সামাজিক রীতি মেনে যেন বিয়ের অঙ্গ হিসেবেই। লুকোচুরির কোনো অবকাশ নেই, এমনকি খুবই গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে দিয়ে এই প্রথা পালন করেন পাত্রপক্ষের পাশাপাশি কনেপক্ষও। উভয় পক্ষের মধ্যে কাজ করে না কোনও লজ্জা বা কুসংস্কার বোধ, যেন টাকা দেওয়াটা কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। সম্প্রতি জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজস্থানের এমনই এক পণ দেওয়াকে কেন্দ্র করেই। ছেলের বাবা নজির গড়লেন মোটা অঙ্কের পণের টাকায়।

বাগদান অর্থাৎ এনগেজমেন্ট ছিল রাজস্থানের বুন্ডি জেলার খাজুরি পঞ্চায়েতের পিপারওয়ালা গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলের৷ আর তাতে ১১ লক্ষ টাকা পণ মিলেছিল কনেপক্ষের তরফ। তবে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজ্রমোহন মীনা এক সামাজিক বার্তা দিলেন সেই পণের পুরো টাকাই ফিরিয়ে দিয়ে। আর এই কৃতকর্মেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন অধ্যক্ষ মহাশয়।

নববধূর বাড়ি থেকে ১১ লক্ষ ১০১ টাকা পণ হিসেবে পেয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রিজমোহন মীনা পুত্রের বাগদানের সময়। তার মধ্যে ব্রজমোহন মীনা সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিয়ে সমাজকে একটি নতুন বার্তা দিয়েছেন যৌতুক প্রথাটির বিরুদ্ধে নতুন করে আওয়াজ তুলে।

সোমবার রাজস্থানের টঙ্ক জেলার উনিয়ারা তহসিলের মান্দাওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাতপুরা গ্রামে বসেছিল বাগদানের আসর। পাত্রী আরতি ও তাঁর আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেই সময়ই পাত্রকে ঐতিহ্য মেনে ১১ লক্ষ ১০১ টাকা এবং একটি গীতাও যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়৷ তবে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেবল ১০১ টাকা হাতে তুলে নিয়ে বাকি সম্পূর্ণ ফেরত দিয়ে দেন। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যে সম্পূর্ণ পন ফেরত দেবে তা ভাবতেই পারেনি কনেপক্ষ, ফলপ্রসূত অবাক হন সকলেই। খুশিতে পাত্রীর বাবা-মা কেঁদে ফেলেন শ্বশুড়বাড়ির এত উদার মন দেখে৷ সাথে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দেন উপস্থিত সকলেই। সকলেরই দাবি, বহু মানুষকে অনুপ্ররণা যোগাবে এই ঘটনা, তাই এটি উদাহরণ হিসেবে আসা উচিত সকলের সামনে।

Related Articles