টানা পাঁচ দিন পতনের পর বুধবারই বেড়ে গিয়েছিল সোনার দর। তবে, সোনা প্রেমীদের জন্য ফের সুখবর আবারও কমলো সোনার দাম। করোনা আবহে বৃহস্পতিবার অনেকটাই নিম্নমুখী সোনার দাম, পিছিয়ে নেই রুপোও।
করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত কমাতে দেশজুড়ে লকডাউন করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। কিন্তু লকডাউনের জেরে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন সোনা ব্যবসায়ীরা। একেবারে ডুবে গিয়েছিল ব্যবসা, তার মধ্যেই চড়চড়িয়ে বাড়ছিল সোনার দাম। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছিলেন সোনা বিক্রেতা থেকে ক্রেতারা। যদিও একটানা সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর অবশেষে অনেকটাই কমে গিয়েছিল সোনার দাম। কিন্তু ফের সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে কপালে ভাঁজ পড়ে ছিল ক্রেতাদের। তবে আর চিন্তা নেই ক্রেতাদের জন্য আবার সুখবর। বৃহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অক্টোবর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২২ শতাংশ কমে দাঁড়াল ৫১,৬৬৫ টাকা। জানিয়ে রাখি, টানা পাঁচদিনের নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দাম উঠেছিল ৯০০ টাকা। তবে, বৃহস্পতিবার ফের সোনার দর পতনের ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে ভারতীয় বাজারে ছ’দিন কমল সোনার দাম। কঠিনসময় যা খুশির খবরই বলা যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে বাজার পর্যবেক্ষকদের দাবি,’ ভূ-আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ছাড়াও একাধিক চিনা সংস্থার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে। যা সোনার দামকে সাহায্য করেছে। ডলার সূচক প্রায় ০.২ শতাংশ পড়েছে। যা প্রায় এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন। ফলে মুদ্রাধারীদের কাছে সস্তা হয়েছে সোনা’। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস উদ্বেগ, বৃদ্ধির আশঙ্কা, মার্কিন-চিনা দ্বন্দ্বের মধ্যেও সোনা কেনার প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে, খুব বেশি পরিমাণ সোনা কেনার দিকে ক্রেতারা ঝুঁকবেন না। মার্কিন কেন্দ্রীয় নীতি ঘোষণা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সোনার অস্থিরতা জারি থাকতে পারে’।
এবার আসা যাক রুপোর প্রসঙ্গে, সোনার পাশাপাশি দাম পতনের সাক্ষী থাকল রুপোও। এক কেজি রুপোর দর এক শতাংশ কমে হল ৬৬,৮২১ টাকা। গত সেশনে এক কেজি রুপোর দর অবশ্য ৩,৫০০ টাকা বেড়েছিল। তবে সমীক্ষা বলছে, গত সেশনে সোনার দর অনেকটা বেড়েছিল। দুর্বল মার্কিন ডলারের মধ্যে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৯৫২.১১ ডলার। অন্যদিকে, আউন্স পিছু রুপোর দাম ০.৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৭.৩ ডলার।