করোনা আবহে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের পরিবার, তাদের জন্য বিশেষ ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার
করোনা আবহে লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে অথবা রাজ্যের বাইরে কাজে যেতে না পেরে অনেকেই পুকুর খাল বিল নদীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিজেদের সংসার খরচ জোগাড় করতে। ফলে মূল মৎস্যজীবীদের সমস্যা তৈরি হয়েছে অনেকটাই।
মলয় দে নদীয়া:- রাজ্য সরকার স্বীকৃত মৎস্যজীবী কার্ড এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র থাকলে পূর্বেই মিলত মৎস্যজীবী ভাতা। অর্থাৎ মাসে ১০০০ টাকা। কিন্তু করোনা আবহে লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে অথবা রাজ্যের বাইরে কাজে যেতে না পেরে অনেকেই পুকুর খাল বিল নদীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিজেদের সংসার খরচ জোগাড় করতে। ফলে মূল মৎস্যজীবীদের সমস্যা তৈরি হয়েছে অনেকটাই। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বাড়তি নজরদারিতে মিলেছে খানিকটা সুরাহা।
শান্তিপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি মৎস্য কর্মধক্ষ্য নিখিল সরকার জানান “লকডাউন এর পূর্বে শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের এমনই ৫২ জন মৎসজীবীকে ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে তা আরো ৪২ টি নতুন ভাতার জন্য নির্দেশ এসেছে সরকারি তরফ থেকে। এভাবেও মৎস্যজীবী পরিবারের ১৪ টি নতুন সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই অনুযায়ী প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে নির্দেশও পৌঁছে গেছে।”
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামানিক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান “এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমাজের সকল অংশের মঙ্গল সাধিত হয়েছে । এমনকি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পর তথ্য সরলীকরণ করে প্রত্যেক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের এলাকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোটা অনুযায়ী পৌঁছে যায় তাদের কাছে।”
ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিস সূত্র অনুযায়ী জানা যায় জয়বাংলা ফর্ম, মৎস্যজীবী ভাতার আবেদনের ফর্ম সবটাই প্রমানসহ বিডিও অফিসেও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। মৎস্য দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত মাছের চারা, জল পরিষ্কার করার চুন, মাছধরা জাল , মাছ রাখার হাড়ি সবটাই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এ বিষয়ে আগ্রহীরা বিস্তারিত জানতে বিডিও অফিসের মৎস্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করলে মিলবে সুফল।