ইস্টবেঙ্গলকে দুই-শূন্য গোলে হারিয়ে ম্যাচের সেরা মোহনবাগান, আতশবাজি এবং সবুজ মেরুন আবিরে রঙিন আকাশ
গতকাল সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ প্রায় প্রতিটা বাড়ির বোকা বক্সের সামনে জড়ো হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা , পাড়ার মোড়ে, ক্লাব ঘরে ,টিভির দোকানে প্রায় সর্বত্রই বাক যুদ্ধের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে।
মলয় দে নদীয়া:-পূর্বপুরুষের অস্থিমজ্জাগত চিরাচরিত লড়াই নব্বই মিনিটে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক্সট্রা টাইম, বিরতি ধরে চরম উত্তেজনাকর অপেক্ষার জন্য জায়েন্ট স্ক্রিন বা টিভির পর্দায় দু’ঘণ্টা ধরে প্রতিটা মুহূর্তে নিরিক্ষনে ধ্যান মগ্ন ছিলেন লাল হলুদ এবং সবুজের সদস্যরা । দিনভোর ফ্ল্যাগ ফেস্টুন লাগানোর টানটান উত্তেজনার সকল জল্পনা শেষ হলো রাত ন’টা নাগাদ।
গতকাল সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ প্রায় প্রতিটা বাড়ির বোকা বক্সের সামনে জড়ো হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা , পাড়ার মোড়ে, ক্লাব ঘরে ,টিভির দোকানে প্রায় সর্বত্রই বাক যুদ্ধের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। খেলার প্রথমার্ধে দুপক্ষের গলার আওয়াজে সমান থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমেই মোহনবাগান এর পক্ষে রয় কৃষ্ণার একটি গোল লাখো ইস্টবেঙ্গলিয়ান সমর্থকের গলার আওয়াজ স্মিত করে দিয়েছিলো।
কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই ইস্টবেঙ্গল এর পক্ষ থেকে পিলকিংটনের মারাত্মক আক্রমণাত্মকভাবে গোল দিতে উদ্যত হলেও মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য শিকারিপাখির মতো ছোঁ মেরে আত্মস্থ করে, ভেঙে দেয় সকল লাল হলুদ সমর্থকদের মনোবল। এরপরে মোহনবাগানের পক্ষে আবারো দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় শেষের দিকে মনবীরের বীরত্বে সকল জল্পনার শেষ হয়! গলির মধ্যে পাড়ার রাস্তায় শীতের আমেজে বেরিয়ে পড়ে মেরুন সবুজ আবির নিয়ে। আকাশ-বাতাস মুখরিত হয় সবুজ মেরুন আলোর রোশনাইতে।