অত্যন্ত গরম হয়ে উঠেছে সূর্যের শরীর। ফলতো পৃথিবীর জন্য বিপদ আসন্ন। সম্প্রতি সূর্যের শরীর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর জেরে হয়ে যেতে পারে অনেক কিছু ওলট-পালট। ব্যাহত হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থাও, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু কিভাবে গরম হলো সূর্যের শরীর! বিজ্ঞানীরা মনে করছেন প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে সূর্যের শরীরে। যার জেরে সর্বশক্তিমান সূর্য হয়ে উঠেছে গরম। ফলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে পৃথিবীর কমিউনিকেশন সিস্টেমে। এমনকি আতঙ্কের বিষয় ওই বিস্ফোরণের রেশ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে পাওয়ার গ্রিডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে GPS, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনও। জানা যাচ্ছে শুধু আমাদের গ্রহই নয়, গোটা সৌরমণ্ডলই এর দ্বারা প্রভাবিত হতে চলেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে ইলেকট্রন, প্রোটনের মতো যে শক্তিকণাগুলি ক্রমশ আবর্তিত হয়ে চলেছে, এই সৌরশিখার দাপটে তাদের চলনও পালটে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে সৌর কলঙ্ক থেকে সূর্যের শরীরে বিস্ফোরণ এসে পড়তে পারে। কারণ সৌর কলঙ্ক অন্তঃস্থলে থাকা একটি গভীর অন্ধকার গহ্বর চাঁদের কলঙ্কের মতোনই। কিন্তু সূর্যের অন্তস্থলের এই গহ্বরের তাপমাত্রা কিন্তু হিমাঙ্কের নিচে। ফলে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। সূর্যে এ ধরনের সবথেকে বড় আকারের গহ্বরটির নাম AR2770।
আর সেখানেই ঘটে গিয়েছে প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যার ফলে তৈরি হয়েছে সৌরশিখা। কিন্তু চিন্তার বিষয় বিস্ফোরণের ফলে সৌর কলঙ্কে অন্যান্যবার যে সৌরশিখা তৈরি হয় এবার তা কয়েকগুণ বেশি। ইতিমধ্যেই সৌর শিখার চৌম্বক তরঙ্গের প্রভাব পড়েছে বায়ুমন্ডলের মধ্যে। যদিও অন্য সময়ে সবচেয়ে কাছে সূর্যের যে বায়ুস্তর থাকে সেখানেই আটকে যায় সৌরশিখার শক্তি। তবে, এবার অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয় পৃথিবীর কাছাকাছি স্তরে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলেই GPS, পাওয়ার গ্রিডের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। সবমিলিয়ে, সূর্যের Coronal Mass Ejection-এর ঘটনার প্রভাবে গোটা জগতেরই অনেক কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানীদের কপালে।