এবার কলার টিউনে অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠে করোনা সতর্কবার্তা শুনতে নারাজ হলেন জনসাধারণ। জনস্বার্থ মামলা জারি হল দিল্লি হাইকোর্টে। অতিমারী পরিস্থিতিতে ফোন করলেই শোনা যাচ্ছিল তাঁর কণ্ঠে সতর্কবার্তা, যিনি নিজেও একজন করোনা সারভাইভার। কিন্তু এবার তাঁর ব্যারিটোন ভয়েসে করোনা সতর্কবার্তা শুনতে আপত্তি জানালেন জনসাধারণ এবং দিল্লি হাইকোর্টে মামলা জারি করলেন জনস্বার্থে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত এই ঘোষণাটি জারি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে। এবং তাঁর ভয়েসেই করোনা সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়। কিন্তু দিল্লির বাসিন্দা তথা সমাজকর্মী রাকেশ এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা জারি করলেন।
তিনি জানালেন, অমিতাভ বচ্চন কোন সমাজ কর্মী নন এবং তিনি এটা শুধুমাত্র সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য করছেন না। এজন্য তিনি ভারত সরকারের থেকে মোটা টাকা আদায় করছেন। এবং তিনি নিজেও সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। হয়তো তিনি নিজেও ঠিকঠাক ভাবে মেনে চলেননি করোনা সতর্কবাণী। দিল্লি হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং জ্যোতি সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাকেশের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আবেদনকারীর কৌঁসুলী উপস্থিত না থাকায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি।
রাকেশ আরো জানান, বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা সরাসরি মাঠে নেমে কাজ করছেন এবং তাঁদের কারো কারো জীবনে সংশয় উপস্থিত হয়েছে। তাঁরা কেউ কেউ প্রত্যক্ষভাবে এবং কেউ কেউ পরোক্ষভাবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করেছেন। তবে তাঁরা কেন নন? কেনই বা অমিতাভ বচ্চন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু মানুষ তাদের নিজেদের স্বোপার্জিত অর্থ অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। এমনকি অনেকে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ থেকে খাদ্য বস্ত্রের জন্য অকাতরে দান করেছেন দুঃস্থদের। সে অর্থে দেখতে গেলে অমিতাভ বচ্চন কোন সমাজ কর্মী নন, বরঞ্চ আদালতে তাঁর পুরোনো ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয়। বলাই বাহুল্য, অমিতাভ বচ্চনের নামে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলছে। এ বিষয়ে সে দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।