দেশনিউজ

এক যুবকের ভালোবাসা ভাগ করে নিলেন দুই যুবতী, একই আসরে হল বিয়ে

Advertisement
Advertisement

একই দিনে একই মঞ্চে এই যুবক গলায় মালা পরিয়ে দিলেন একই সঙ্গে দুই তরুণীকে। আর তাতে কোনও রাগ বা উষ্মা নেই দুই নববধূর। খুশি মনে তাঁরা দুজনেই মেনে নিলেন এক স্বামীকে। গত ৫ জানুয়ারি বস্তারে ঘটে যায় এই নজিরবিহীন বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে ৫০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল চন্দু মৌর্য নামের পাত্রের বিয়ের অনুষ্ঠান। চন্দু জানিয়েছেন, দুই পত্নীই ছিলেন একসময় তাঁর প্রেমিকা। ভালোবেসেছিলেন দুজনকেই, তাই প্রেমের স্বীকৃতি দিয়েছেন দুজনকেই বিয়ে করে। 

বছর তিনেক আগে ঘটনার সূত্রপাত। তখন বস্তার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাওবাদীদের দাপট ছিল। সেই সময় চন্দু মৌর্য প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন। তখনই টোকাপাল এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজে গিয়ে আদিবাসী মেয়ে সুন্দরী কাশ্যপের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়, শুরু হয় প্রেম। পরবর্তীকালে মাঝে মধ্যে দেখা ও ফোনের মাধ্যমে চলত প্রেম। ধীরে ধীরে বিয়ের পরিকল্পনাও করেন দুজনে। 

এরই মধ্যে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়ে চন্দুর আলাপ হয় হাসিনা বাঘেলের সঙ্গে। প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর সঙ্গেও। তবে তিনি যে আগে থেকেই প্রণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ, তা প্রথম থেকেই হাসিনার কাছে চন্দু স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও হাসিনা তাঁর প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। অন্যদিকে হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কে সুন্দরীও আপত্তি জানাননি। দুজনের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে লিভ-ইন সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন চন্দু। নিজেদের মতো ভাগ করে নিয়েছিলেন ভালোবাসাকে।

কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন একই বাড়িতে দুই মহিলার সঙ্গে বসবাস করায়‌‌। আপত্তি জানান লিভ-ইন সম্পর্কেও। অবশেষে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীদের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে। চন্দু মালা পরিয়ে দিয়েছেন দুজনেকেই, ভালোবেসে বেঁধে রাখতে চান দুজনকেই। কিন্তু হাসিনার পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে নিলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিয়ে মেনে নেয়নি সুন্দরীর পরিবার। আবার বিয়েতে খুশি নয় চন্দুর বাবা মাও। তবে তিনজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা তিনজন সারা জীবন একসঙ্গে থাকতে চান।  

Related Articles