মলয় দে নদীয়া:- লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি হতেই ক্ষুধার্ত গৃহবন্দী সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। সরকারি নিয়ম মতই শত অসুবিধা সত্ত্বেও রয়েছেন কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দী। ভরসা একটাই সরকারি ত্রাণ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে প্রতিটি কাউন্সিলর প্রথমে 5 কুইন্টাল পরবর্তী তিন কুন্টাল চাল বিতরনের নির্দেশ পেলেও,মূলত গাফিলতিতেই করছেন দেরি। অন্যদিকে কাউন্সিলরদের পরিচিত হলে তবেই মিলছে স্লিপ। এমনই অভিযোগ করেন নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের 21 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
তাদের অভিযোগ অনুযায়ী কাউন্সিলর সুমিতা ইন্দ্র র দায়িত্বে থাকা বাসুদেব মজুমদার তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী মানুষকে দিয়েছেন এই স্লিপ। কাউন্সিলর সুমিতা ইন্দ্র জানান “দুবারে প্রাপ্ত পাঁচ কুইন্টাল এবং 3 কুইন্টাল মিলিয়ে মোট আট কুইন্টাল চাল 466 টা পরিবারের কাছে স্লিপ মারফত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখনো পাঁচশো স্লিপ হলে তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে আমি শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে কে জানিয়েছি, লোক সংখ্যা বেশি হওয়ায় অন্য ওয়ার্ডের থেকে বেশি চালের প্রয়োজন।”
লকডাউনের মধ্যেও এত মানুষের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে অভিযোগকারীদের জানতে চাওয়া হলে, তারা জানান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রেশন কার্ডের ভিত্তিতে নয় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দতেই মিলছে চাল। সরকারি নিয়ম মেনেই গৃহবন্দী রয়েছি, আমাদের জন্য পাঠানো চাল পাচ্ছে উচ্চবিত্তরা । অভুক্ত পরিবারের খিদের জ্বালা নিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারাচ্ছে, প্রত্যাক্ষিত মানুষ।