সংকটের আবহে স্বস্তির খবর, ভারতে প্রচুর চাকরি দিচ্ছে ‘ওয়াইল্ড ক্রাফট’
দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই করোনা মোকাবিলার জন্য গোটা দেশ একসাথে সামিল হয়েছে। কিভাবে করোনা থেকে গোটাদেশকে মুক্ত করা যায়, তার হাজার হাজার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাতে সাড়া মিলেছে দেশের জনগনের। একদিকে যেমন স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াশ করোনা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র। অন্যদিকে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। যা করোনা মোকাবিলার অন্যতম প্রধান অস্ত্র। যা অনেকটাই সুরক্ষিত রাখছে সকলকে। কমবেশি দেশের প্রত্যেক নাগরিকেই কিন্তু মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে।
আর এটাই এখনকার ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। ঘর থেকে বেরোলেই মাস্ক পরতে হবে। এর থেকে নিজেকে তো সুরক্ষিত রাখা যাবেই অন্যদিকে পরোক্ষভাবে নিজের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু দেশের এতগুলো মানুষ যখন মাস্ক ব্যবহার করছে তখন তো সেটার চাহিদাও প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। তাই সেই চাহিদা মেটাতে এবং যথা সম্ভব মাস্কের জোগান দিতে, মাস্ক প্রস্তুত করতে চলেছে বিশ্বখ্যাত ও জনপ্রিয় পোশাক ও আনুষঙ্গিক পন্য প্রস্ততকারী সংস্থা ‘ওয়াইল্ড ক্রাফট’। তার জন্য আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তারা। সেই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে।
এদিকে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা গৌরব ডাবলিশ জানিয়েছেন, “করোনা সংক্রমণ পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ গিয়ারের চাহিদা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্যপরিষেবার পণ্য লাইফস্টাইল পণ্য হিসাবে আগে কখনও ব্যবহার হয়নি। আমরা এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্যগুলিকে লাইফস্টাইল পণ্যে রূপান্তরিত করব।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘যে মুহূর্তে এই পণ্যগুলিকে লাইফস্টাইল ক্ষেত্রে প্রবেশ করানো যাবে, চাহিদাও বদলে যাবে। তখন বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার সময় প্রতিটি মানুষ এগুলির ব্যবহার করবেন।’
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, ‘চাহিদা বাড়তে থাকলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ভারতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ১ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে পারব। এর মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত তৈরির ডাকে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে পারি। এর পাশাপাশি গোটা বিশ্বকেও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা দেখানো যাবে।’