সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে উঠে এল আরো এক নতুন তথ্য। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে তদন্তের সময় সুশান্তের ঘরের মেঝে থেকে তার বাথরোব বেল্ট টি দুটুকরো অবস্থায় পেয়েছে পুলিশ। আর সুশান্তের দেহ পড়েছিল বিছানায়। পুলিশের অনুমান সুশান্ত প্রথমে বাথরোব বেল্ট দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পরে সেটি ছিঁড়ে যাওয়ার সবুজ কুর্তায় গলায় ফাঁস লাগিয়েছিলেন।
যদিও কুর্তা আদৌও সুশান্তের ওজন ধরে রাখতে সক্ষম কিনা তা জানতে সবুজ কুর্তা টি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এমনকি কোন বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা তাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা যায় এই সপ্তাহের শেষের দিকেই ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট চলে আসবে।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন তদন্তের সময় তার ঘরে দেখেন আলমারি খোলা অবস্থায় ইস্ত্রি করা সমস্ত জামাকাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তাদের ধারণা ওই বেল্টটি ছিড়ে যাওয়ার পরেই সুশান্ত আলমারি থেকে কুর্তাটি টেনে বের করেন। তাদের বক্তব্য গোটা তদন্তের এখনো কোনরকম সন্দেহজনক কিছু দেখেননি। এমনকি ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে অভিনেতার দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
মিড ডে তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন সুশান্তের দেহ নীচের দিকে ঝুঁকে পড়ে ঝুলছিল। আর তা থেকে পুলিশের সন্দেহ হয়। তদন্তে জানা যায়, সুশান্তের উচ্চতা 5ফুট 11 ইঞ্চি। আর সুশান্তের উচ্চতা 5 ফুট 10। সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ থেকে ফ্যানের উচ্চতা 8 ফুট 1 ইঞ্চি। প্রসঙ্গত রহস্যের জট খুলতে এখনো চলছে তদন্ত।