সম্প্রতি বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর জেরে লাদাখ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভারতের 20 সেনা সদস্য নিহতও হন। ইতিমধ্যে তাই চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন কেন্দ্র। ভারতের এলাকায় চীনের কোনরকম প্রবেশ ও আগ্রাসন মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
ইতিমধ্যেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে এবার চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে বাণিজ্য দপ্তর চীন থেকে আমদানি করা 371 টি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আর্জি জানাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।
খুব শীঘ্রই বাণিজ্য দপ্তরের তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। জানা যাচ্ছে এই পণ্যগুলোর মধ্যে আছে প্লাস্টিকের খেলনা প্লাস্টিকের পণ্য বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী সহ একাধিক পণ্য। এছাড়াও চীন থেকে ভারতে যে বিশাল পরিমাণ ইলেকট্রনিক্স-সামগ্রী আসে তার উপরেও নিষেধাজ্ঞা চালাতে চলেছে। বিভিন্ন ওষুধ পোশাকসহ একাধিক সামগ্রী আছে এই তালিকায়।
তবে এই মুহূর্তে সরকার চীন থেকে আসা কোন সামগ্রীর ওপর শুল্ক বাড়াতে চাইনা। কারণ এতে করে ভারতের উৎপাদনকে হ্রাস করতে পারে। চীনা সমগ্রের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চ্যাট করা ছাড়াও কেন্দ্রীয় তরফে আরো একটি বিকল্প কথা ভাবা হচ্ছে। চীন থেকে আমদানি করা শীর্ষ 100 টি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হতে পারে এতে সমস্যায় পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থাতে এখন সরকার কি ব্যবস্থা নেই সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই।