করোনা আবহের মাঝেই ফের ভয়াবহ খবর। একইসঙ্গে মৃত্যু ১১ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে যোধপুরে দেচু পুলিশ থানা এলাকার লোড়রা হরিদাসোতা গ্রামের পাশে এক এলাকায়। ১১ জন মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুও। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আত্মহত্যা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, যে ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে চারজন মহিলা, দুটি বাচ্চা আর পাঁচজন পুরুষ। ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জড় হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। ঘটনাস্থলে এফএসএল-র টিমকে ডাকা হয়েছে। মৃতরা সবাই একটি ঘরের মধ্যেই থাকতেন এমনটাই জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর,এরা সবাই পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থী। তাঁরা সেখানে চাষাবাসের কাজ করত। পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য কাজ করা সংগঠনের নেতাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে খবর। ওই এলাকায় পাকিস্তানি শরণার্থীদের সাথে থাকা একজন অন্য জায়গা থেকে এসেছে। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিজনদের কাছেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ওই ১১ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক তদন্ত টিমকেও ডাকা হয়েছে। অন্যদিকেঘটনার খবর পেতেই পুলিশ প্রশাসন অ্যালার্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রশাসনের বড় আমলারাও। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২০১২ সালে রাজস্থানে এসেছিলেন ওই হিন্দু পরিবারটি। লড়তা গ্রামে বসবাস করছিলেন। সকলেই চাষের কাজে যুক্ত ছিলেন। এদেশে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ চলছিল। তা অসম্পূর্ণ রেখেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন একে একে ১১ জন সদস্য।