ভারত চীন যুদ্ধ বাঁধলে কার পক্ষ নেবে বাংলাদেশ? স্পষ্ট জানালেন বিদেশমন্ত্রী
কদিন আগেই লাদাখ গালওয়ান ভ্যালিতে চীনের সেনার সাথে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছে। সীমান্তে এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। দুই দেশের মধ্যে বহুবার সমঝোতার কথা হলেও চীন আগ্রাসনের পথ থেকে কিছুতেই সরতে চাইনা। চীন এবং ভারতের মধ্যে এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই সবরকমভাবে ভারতকে কোণঠাসা করতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যেমন সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে চীন তেমন ওই দেশগুলোর সাথে ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে চীন।
চীনের উস্কানিতেই যে পাকিস্থানের সাথে ভারতের সম্পর্কের এই বেহাল অবস্থা এটা সকলেরই জানা। এরপর ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল এবং ভুটানের সাথে ভারতের যে সম্পর্ক পড়েছে তাতে চীনের মদত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সবকিছুর পেছনেই রয়েছে চীনের বানিজ্যিক উদ্দেশ্য। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের বাজারেও চীন নিজের আধিপত্য বিস্তারে যথেষ্ট তৎপর। তাই চিনা বণিকরা ঢাকার গ্রামীণ বাজারগুলোতে পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন।
ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে টানাপোড়ান থাকলেও ভারতের সাথে বাংলাদেশের যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে। তাহলে একটাই প্রশ্ন উঠেছে যদি ভারত এবং চীনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে তাহলে কোন পক্ষ নেবে বাংলাদেশ? এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,‘ দুই দেশের মধ্যে কোনো এক পক্ষকে বাছাই করা খুব চাপের।ভারত-চিন দুই দেশই বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দুই দেশের সাথেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাই দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাইছি। দুই দেশরই উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি।’ ভারত-চিনকে অবিলম্বে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম BBC-র এক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারত-চিন জটিল সম্পর্কের খুব খারাপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের উপর। আর যদি দুই দেশের যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকা দুই দেশের মধ্যে থেকে কোনো এক দেশকে বাছাই করা খুবই কঠিন হবে বাংলাদেশের পক্ষে।