বর্তমান সমাজে খুব কম বাড়ি আছে যাদের বাড়িতে মোটরবাইক নেই। বয়স্করা সাবধানতা বা নিয়ম মেনে বাইক চালালেও বর্তমান তরুণ সমাজ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়ি নিয়ে। আর এই জন্যই দিন দিন দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। আর যার ফলে বাড়ছে আহত এবং প্রাণহানির সংখ্যা। এবার তরুণ সমাজের বেপরোয়া গাড়ি চালানো রুখতে ২০২০ উইস পলিসি আইন আনলো কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই আইন অমান্য করলেই গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা।
একনজরে দেখে নিন কি কি নিয়ম মানতে হবে:-
১) মাদক সেবন করে বাইক চালালে:- আগে মাদক সেবন করে বাইক চালালে ফাইন ছিল ২ হাজার টাকা। কিন্তু এবার সেটা বাড়িয়ে করা হল ২০ হাজার টাকা। এছাড়া মাদক সেবন করে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালে বাতিল করা হবে গাড়ির ইন্সুরেন্স।
২) ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালে:- ফোনে কথা বলতে বলতে বাইক চালানো খুবই বিপজ্জনক। এরফলে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে। এবার থেকে এই অপরাধে ফাইন গুনতে হবে ৫ হাজার টাকা। এছাড়া বাতিল করা হবে ইন্সুরেন্সের সুবিধাগুলো।
৩) জোরে বাইকে চালালে:- খুব জোরে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার উদাহরণ কম নেই। প্রতিদিনই এরকম বহু ঘটনার সাক্ষী থাকে ভারতবর্ষ। খুব জোরে বাইক চালাতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি করার পাশাপাশি এরা পথ চলতি মানুষের ক্ষতি করে দেয়। এবার থেকে আইন ভেঙে গাড়ি চালালে জরিমানা দিতে হবে ২০০০ টাকা। এছাড়া বাতিল করা হবে ইন্সুরেন্সের সুবিধাগুলো।
৪) ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙলে:- প্রয়োজনে অথবা খুব জোরে গাড়ি চালানোর কারণে বহু মানুষ ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙেন। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এবার থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙলে গুনতে হবে ১০০০ টাকা।
৫) হেলমেট ব্যাবহার না করলে:- হেলমেট ব্যাবহার করা প্রত্যেক বাইক আরোহীর একান্ত প্রয়োজন। হেলমেট পরা থাকলে কোনো দুর্ঘটনা হলেও মাথায় আঘাত লেগে জীবন হারানোর ঝুঁকি কম থাকে। কিন্তু কম মানুষই হেলমেট পরে গাড়ি চালান। এবার থেকে হেলমেট না পরে গাড়ি চালালে ১ হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে।
৬) ইন্স্যুরেন্স না থাকলে:- ইন্স্যুরেন্স ছাড়া মোটরবাইক চালালে ফাইন গুনতে হবে ২ হাজার টাকা।
৭) দুজনের বেশি গাড়িতে চাপলে:- মোটরবাইকে ২ জনের বেশি চাপলে সেক্ষেত্রে ফাইন দিতে হবে ২,০০০ টাকা। এছাড়া দুজনের বেশি আরোহী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যদি কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাহলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ইন্স্যুরেন্সের সুবিধাগুলো বাতিল করে দেবে।