চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডা, ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুক এই মুহূর্তের সাক্ষী আমরা সবাই থেকেছি। ফুটপাতের ওই দোকানের চা এর দাম এতদিন পর্যন্ত 5-20 টাকায় দেখেছি সবাই, যদিওবা কফিশপে যাওয়া হয় তাহলেও সেটা 300 টাকার ওপরে উঠবে না। কিন্তু কখনো 1000 টাকার চা খেয়ে দেখেছেন? হ্যা এক কাপের দামের হাজার টাকা। তাও কোনো স্টার হোটেলে নয় ফুটপাতে বসে খেতে পারবেন এই মহার্ঘ চা।
জাপানের সিলভার নিডেল হোয়াইট টি বা আফ্রিকান ক্যারামেল, আবার নাইজেরিয়ার রেড ওয়াইন টি, কিংবা অস্ট্রেলিয়ার ল্যাভেন্ডার পৃথিবীর প্রায় 115 রকমের চা পাবেন এখানে। চাকরি ছেড়ে নিজের চায়ের শখকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর নানা দেশের চা বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন পার্থপ্রতিম গঙ্গোপাধ্যায়। মুকুন্দপুর এর ফুটপাতের উপরেই বিক্রি হচ্ছে পৃথিবীর নামিদামি সব চা।
বাঙালির চায়ের প্রতি প্রেম কে কাজে লাগিয়ে লালা আর দুধ চা তে আটকে না থাকে 115 রকম চায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বাঙালিকে। তার সংগ্রহে থাকা সিলভার নিডেল হোয়াইট টি এর দাম দুলক্ষ আশি হাজার টাকা প্রতি কেজি। ক্যামোমাইল টি 14 হাজার টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু। হিবিস্কাস টি এর দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা প্রতি কেজি হিসাবে শুরু। ইয়ারবা টি- 14000-26000 এর মধ্যে, রুবাস টি- 20000 প্রতি কেজি, ওয়ায়তি টি- 32000 প্রতি কেজি থেকে শুরু। বোলে টি-50 হাজার থেকে-32 লাখ টাকা পর্যন্ত কেজি হয়। ল্যাভেন্ডার টি- 16 হাজার টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু।
এগুলো ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের চা। কিন্তু যেখানে মধ্যবিত্তের সংখ্যায় বেশি সেখানে কি ফুটপাতের এই মহার্ঘ চা খেতে ভিড় করেন মানুষেরা? পার্থপ্রতিম জানাচ্ছেন তার দোকানে হাজার জনের মধ্যে 100 জন আসবেই। এছাড়া একবার এর স্বাদ নিয়েছেন যারা, তারা ফিরে ফিরে আসেন।