ভাগ্যের চাকা কার ভাগ্যে কখন যে ঘুরে যেতে পারে তা বলা দুঃসাধ্য। তবে ভাগ্য তখনি প্রসন্ন হয় যখন পরিশ্রম করা হয়। পেশা বলতে মাছ ধরা তাও গভীর সমুদ্রে যাওয়ার মত সামর্থ্য ছিল না তার। দিন আনে দিন খাওয়া পরিবারের অন্ন সংস্থান হতো বাড়ির পাশের নদীর খাড়িতে জাল ফেলে। কিন্তু আচমকাই এক লহমায় একটি মাছ ঘুরিয়ে দিল ভাগ্যর চাকা।
দক্ষিণ 24 পরগনা সাগরের বাসিন্দা পুষ্প কর। বৃদ্ধ বয়সে এসেও খাড়িতে জাল ফেলে মাছ ধরে অন্নসংস্থান হতো তাদের। কিন্তু ভাগ্যদেবী বোধহয় অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন কপালে। অন্যদিনের মতো সেদিনও খাড়িতে জাল ফেলে এসেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে জাল তুলতে গিয়ে যা দেখেন তাতে চক্ষু ছানাবড়ার হয়ে যায়। রোজকার মতো জালে এবার চুনোপুটি নয় ধরা পড়েছে তা রাঘববোয়াল বলা যায়। তার ওজন এতটাই ভারী যে আশেপাশের কয়েকজনের সাহায্যে সেটিকে জাল থেকে টেনে তুলতে হয়।
পেল্লাই সাইজের ভোলা উদ্ধারের পর রীতিমতো হৈ হৈ পড়ে যায় গোটা এলাকা জুড়ে। প্রায় 60 কেজি ওজনের ঐ ভোলা 6000 টাকা কিলো হিসাবে বিক্রি হয় কাকদ্বীপ বাজারের আড়তদারের কাছে।
এই মাছের দৌলতে এই প্রবল আর্থিক অনটন এর দিন শেষ হয়ে একটু সুখের মুখ দেখেছেন ওই বৃদ্ধার পরিবার। কিন্তু এত বড়ো সামুদ্রিক মাছ এলো কি করে!! মনে করা হচ্ছে জাহাজের ধাক্কা খেয়ে মাছটি পাড়ের দিকে চলে এসেছিল। যার দৌলতে পুষ্পদেবীর বর্তমানে আপাতত লক্ষাধিক টাকার মালিক।