নিউজরাজ্য

‘চাকরি বা সরকারি সাহায্য না পেলে মাওবাদীদের দেখানো পথেই হাঁটব!’, কড়া হুঁশিয়ারি জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের

দীর্ঘ ১০ বছর কেটে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিখোঁজ ও শহিদ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই মত কোনো কাজ হয়নি।

Advertisement
Advertisement

রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলনের অবসানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘ ১০ বছর কেটে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিখোঁজ ও শহিদ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই মত কোনো কাজ হয়নি। এত বছর হয়ে গেলেও মাওবাদীদের হাতে নিহত কিংবা নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা কোনোরকম সাহায্য পাননি পাননি। বিভিন্ন সময়ে জেলাশাসক থেকে নবান্ন পর্যন্ত দরবার করেছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

তাই এবার মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিল মাওবাদীদের হাতে নিহত ও নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা। তারা একেবারে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, চাকরি বা সরকারি সাহায্য না পেলে মাওবাদীদের দেখানো রাস্তাতেই হাঁটবে তাঁরা। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের লোধা স্মৃতি ভবনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে বসেন ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া- এই ৪ জেলার শতাধিক পরিবারের সদস্যরা।

তাঁদের দাবি, “মাওবাদীরা খুন করে চাকরি পেয়েছে। আর আমাদের লোকেরা খুন হলেও আমরা চাকরি পাইনি। সরকারি সাহায্যও পাইনি। তাই মাওবাদীরা যে জঙ্গলের রাস্তা দেখিয়েছে সেই রাস্তাতেই হাঁটব।” নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য জঙ্গলমহলের এই শহিদ ও নিখোঁজ পরিবারগুলি মিলেই তৈরি করেছে যৌথ মঞ্চ। পিকে টিমের সঙ্গেও বৈঠকও করেছে এই যৌথ মঞ্চ। এছাড়া শাসক দলের নেতৃত্বদের সঙ্গেও একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছিল।

তাঁদের অভিযোগ, মাওবাদী আমলে ঝাড়গ্রাম জেলায় নিখোঁজ হয়েছেন ৮১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৬ জন, বাঁকুড়ায় ১ জন ও পুরুলিয়ায় ১৬ জন। ১০ বছর হয়ে গেলেও এই নিখোঁজদের ডেথ সার্টিফিকেট মেলেনি। আর সেই কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়া তারা এটাও অভিযোগ করে যে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে নবান্ন পর্যন্ত ডেপুটেশন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

Related Articles