প্রেম-ভালোবাসা বয়স থেকে আসে না সময় দেখে আসেনা। ছেলে বা মেয়ে বড় হলে যেরকম বাবা-মার দায়িত্ব তার ছেলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া। সেরকমই মা-বাবা একাকীত্বে ভুগলে তারা বিয়ে করতে চাইলে তাদের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ছেলে বা মেয়ের। আর এবার সেই কাজটি করলেন ছেলে। ৬৬ বছরের বাবার বিয়ে দিল ছেলে।
সম্পর্ক তৈরি হয়ে যদি বিয়ে না হয় তাহলে সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে, অসম্পূর্ণ জিনিসটা এবার সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিজে হাতে তুলে নিলেন এক ছেলে। নিঃসঙ্গ বাবাকে ফের সম্পর্কের মধুরতায় ফেরাল ছেলে। বছর ৬৬-র কলকাতার বাসিন্দা তরুণ কান্তি পাল গত ১০ বছর ধরে একারই বাস। একমাত্র ছেলে সায়ন থাকে কানাডায়। বছর দশেক আগে স্ত্রী গত হয়েছেন। একাকী, নিঃসঙ্গতাই জীবন তার। এরই মাঝে ভট্টনগরের গ্রামে আদি বাড়ি সায়নদের। বছর দুয়েক আগে অবসরগ্রহণের পর পর সেই গ্রামের রামকৃষ্ণ মঠে সকাল-বিকাল হাঁটতে যেতেন তরুণবাবু। সেখানেই বছর ৬৩-র স্বপ্না রায়ের সাথে আলাপ। এর পরে আলাপ বন্ধুত্ব তারপরে ভালোবাসা।
দুজনের মধ্যে ফোন নম্বর এক্সচেঞ্জ। নিজেরাই একসময় বুঝতে পারেন দু’জনেই দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছেন। কিন্তু ছেলেকে না জানিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। এরপর সব কথা জানার পর ছেলে সায়নও সহমত হয়। নিজেই বাবার বিয়ের আয়োজন করেন ছেলে।
বাবার বিয়ের প্রসঙ্গে ছেলে জানিয়েছেন, সে ভারি খুশি। অন্যদিকে নিজের বিয়ের প্রসঙ্গে তরুণ কান্তি পাল জানান, ‘জীবন একটি দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রায় কাউকে সঙ্গে নিতে লাগে। দুর্ভাগ্যক্রমে যদি সঙ্গী চলে যায় ছেড়ে। তবে তাদের অসমাপ্ত যাত্রায় অন্য কাউকে অংশীদার হিসাবে বেছে নিতে হয়’। দুই হৃদয়কে মিলিয়ে দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ কান্তির ছেলেকে দেখে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটিজেনরা।