নিউজরাজ্য

সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী, অচল সংসার চালাতে বাসের স্টিয়ারিং হাতে নিলেন ৩ সন্তানের জননী

Advertisement
Advertisement

তৈরী হল নতুন ইতিহাস। ইতিহাস গড়লেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা পূজা দেবী। কাশ্মীরের প্রথম মহিলা বাস চালক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন তিনি। ছোটোবেলা থেকেই ভালোবাসতেন। এতটা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসে স্বপ্ন পূরণের পথটা এতটা সহজ হয়নি তাঁর। সমাজের প্রতি ক্ষেত্রেই নারীরা যে পুরুষেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে তার প্রমাণ পূজা। সংরক্ষণশীল সমাজের নারীদের মধ্যে দুই কন্যার মা পূজা যেন ব্যতিক্রম।

কাশ্মীরের একজন মহিলা হিসেবে তাঁর এতটা কঠিন যাত্রা পথে পাশে পাননি তাঁর পরিবারকে। তিনি বাস চালাবেন, তাতে সায় ছিল না তাঁর স্বামীর। তবে স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারেনি সেসব। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন নিজের স্বপ্নের দিকে। তিনি বলেন, “আমি এর আগে একটি ট্রাক ও ট্যাক্সি চালিয়েছি। তবে এবারের এবারের অনুভূতি অন্যরকম। প্রথমবার বাস চালাতে পেরে আমি খুব খুশি। এর আগে কেউ হয়তো বাস চালানোর স্বপ্ন দেখেনি। গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখলেও অনেকের সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। তবে আমার গাড়ি চালানোর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এরপর অন্য মহিলাদের ড্রাইভিং শেখানো আমার লক্ষ্য।”

পূজার পুরোদস্তুর বাসের স্টিয়ারিংয়ে হাতেখড়ি গত ২৩ ডিসেম্বর। কাঠুয়া রুটে একটি বাসের স্টিয়ারিংয়ে সেদিন হাত দেন তিনি। পূজা ড্রাইভিং শিখেছেন বেশ কয়েকবছর আগে। তারপর একটি ট্যাক্সি ও জন্মুতে একটি ট্রাকও চালিয়ে ছিলেন তিনি। স্থানীয় ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের স্টিয়ারিংয়ের দায়িত্ব এখন পূজার কাঁধে। তার এমন সাহসী পদক্ষেপে অবাক আমজনতা।

মেয়েদের গাড়ি চালানোর ব্যাপারে অনেকেই মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা রাখেন। আমাদের শহর কোলকাতার বহু পরিবারে মহিলাদের গাড়ি চালানো বারণ। এই চিন্তা ভাবনা থেকে সমাজ এগিয়ে আসলেও বেশ কিছু রক্ষণশীল পরিবারে আজও এরকম চিন্তা ভাবনা বিরাজ করে। আর সেখানে কাশ্মীরের মত জায়গায় এটি খুব বড় ব্যাপার। সেই কাশ্মীরেই সোশ্যাল ট্যাবু ভেঙে বেরিয়ে এসে যখন বাসের স্টিয়ারিং এক মহিলার হাতে তখন তো সেটি খবরের শিরোনাম হবেই।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles