সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে এবার যুক্ত হয়েছে মাদক রহস্য। সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে সিবিআই। অন্যদিকে সুশান্তের বাবা এফআইআরে লিখেছিলেন নিয়মিত বেশিমাত্রায় ড্রাগ দিয়েই তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলেছে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার। এরই মাঝে সুশান্ত মামলায় দুই মাদক পাচারকারী পাকড়াও হাতেনাতে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই আঙ্গুল উঠেছে তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। ইতিমধ্যেই সুশান্ত মৃত্যুর জন্য রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেতার বাবা। সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা পরপর তিনদিন মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্ট হাউজে রিয়াকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ চালান। সম্প্রতিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে টেলিভিশন অভিনেতা সুভেদ লোহিয়ার সঙ্গে নাকি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে লেনদেনের তথ্য। অন্যদিকে সম্প্রতি সুশান্তের বাড়ির দুই কর্মী নীরজ আর দীপেশ সিবিআইকে জানায় গাঁজা খেতেন অভিনেতা। কিন্তু ছাড়তে চেয়েছিলেন মাদক।
অন্যদিকে আবার অভিযোগ ওঠে সুশান্তকে নেশা সারতে তাঁকে লুকিয়ে মাদক দেওয়া শুরু করেন রিয়া চক্রবর্তী। কয়েকদিন আগেই পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সুশান্তকে জোর করে ড্রাগ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত। আর তারপরেই গত সপ্তাহেই ভারতের নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো একটি মামলা রুজু করে। সেই সঙ্গে নার্কো বিভাগ আলাদা করে তদন্তও শুরু করে। ঘটনায় মাদকসেবন, ড্রাগ সম্পর্কিত কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর এরই মাঝে মঙ্গলবার রাতে দুই ড্রাগ সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করল নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
জানা গিয়েছে, করণ ও আব্বাস নামের ওই দুই ব্যক্তি বলিউডের অন্দরে ড্রাগ সরবরাহ করত। বুধবার মুম্বাইতে তাদের জেরা করবে NCB। ধৃতেরা এমন কিছু তারকার নাম বলেছে যাঁরা এই সম্পূর্ণ চক্রের দেখভাল করতেন। তারা কারা তা জানা যাবে তদন্তের পরই। উল্লেখযোগ্য বিষয় সম্প্রতি,সিবিআই-র হাতে রিয়ার যে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের অংশ এসেছে তাতে MDMA, Hashis, গাঁজার উল্লেখ রয়েছে, এও বলা হয়েছে এগুলি সুশান্ত নিয়মিত খান। অন্যদিকে আবার রিয়ার আইনজীবী দাবি করেন, আজ পর্যন্ত জীবনে কোনদিনও রিয়া মাদক সেবন করেননি।