হিন্দু-মুসলিম সংঘাত নতুন কিছু না, স্বাধীনতার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে এবং দেশের অন্তর্ভাগেও এই সংঘাত জারি আছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় ১০০ বছরের পুরনো একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে ইসলামিক মৌলবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সেই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, অ্যাবোটাবাদ জেলার হাভেলিয়ান শহরের একটি মন্দিরে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে গেছে। আরও একবার স্পষ্ট হল পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্মান্তিক অবস্থা। ঘটনাটিকে তীব্র নিন্দাকর জানিয়ে ইমরান খান পরিচালিত সরকারের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এরই পরে সরকারি খরচে মন্দিরটিকে আবার পুনর্নিমানের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। এবার জমি মাফিয়া ও মৌলবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করার সংকল্প নিল পাকিস্তানের প্রশাসন। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার দাবি অনুযায়ী মন্দিরটির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশকর্মীদের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ওই হিন্দু মন্দির ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় হিন্দু নেতা হারুণ সারাব দয়াল। তিনি জানান, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি অশান্তি ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানে হাভেলিয়ান শহরের একটি হিন্দু মন্দিরের জমি দখল করতে চাইছে। স্থানীয় এক জমি মাফিয়া
মৌলবাদীদের মদতে এই কাজ করতে চাইছে। সাথেই প্রশাসনকে জানান অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে।
প্রসঙ্গত, এই দাবির পরেই নড়চড়ে বসে অ্যাবোটাবাদ জেলার প্রশাসনিক কর্তারা এবং গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়ে জেলা উদ্বাস্তু সম্পত্তি ট্রাস্ট কমিটি ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন অ্যাবোটাবাদের ডেপুটি কমিশনার সানাউল্লাহ। এর পরেই আধিকারিকদের পরামর্শানুযায়ী ওই মন্দিরটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশকর্মী মোতায়েন করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসককে এবং যাতে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ওই পরিকাঠামোটির কোনও ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। মন্দিরটি রক্ষা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।