গত ১৫ জুন গলওয়ানে ভারত ও চিন- দুদেশের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান প্রাণ হারান এবং চীনের ৪৩ জন সেনা আহত আহত হয়। তারপর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দুদেশের সেনার মধ্যে তিনটি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হলেও, লাদাখ সমস্যার কোনো সমাধান মেলেনি। চীন এর পদক্ষেপ থেকে পরিষ্কার চীন তার আগ্রাসন থেকে পিছু হটতেই চায়না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীন হাত মিলিয়েছে পকিস্থানের সাথে। একদিকে পূর্ব লাদাখে সীমান্তে বহু সেনা মোতায়েন করছে চিন। অপরদিকে পশ্চিম লাদাখ সীমান্তে গিলগিট-বালতিস্তানে প্রায় ২০ হাজার সেনা নিয়োগ করেছে পাকিস্থান। জানা গিয়েছে, ভারতকে চাপে ফেলতে অর্থাৎ চীনকে সহায়তা করার লক্ষ্যেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে সেনা নিয়োগ করেছে পাকিস্থান।
শুধু সীমান্তে নয় ভারতের অন্দরেও চাপ সৃষ্টি করতে পাকিস্থানের একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করছে চিন, এমনটা জানা গিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে। আল-বাদর জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে চীন, এমনটাও খবর মিলেছে।
গোয়েন্দা মারফত জানা গিয়েছে, ১০০ জনের মত জঙ্গি ভারতে ইতিমধ্যেই ঢুকে গেছে এবং তারা দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে ফের আত্মঘাতী হামলার ছক কষা। সীমান্তের এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনাপ্রধান এমএম নারাভানকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার লাদাখের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থিত ফরোয়ার্ড পোস্টগুলি পরিদর্শন করবেন, এমনটা জানা গিয়েছে সূত্র দ্বারা। চীন এবং পাকিস্থানের যৌথ ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা ভারত কিভাবে করবে তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের মধ্যে।