নিউজরাজ্য

‘ভাষণ এর পরিবর্তে রেশন দিন’, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির

Advertisement
Advertisement

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে তা জারি থাকার কথা আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত। কিন্তু আদৌ ৩ রা মে লকডাউন ওঠানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে গত সোমবার ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই কথামতো ভিডিও কনফারেন্স হয়। ভিডিও কনফারেন্সে ছিল ৯ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যোগ দিয়েছিল সেই কনফারেন্সে। কিন্তু কনফারেন্সে যোগ দিলেও সেইভাবে কিছু কথা বলার সুযোগ পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সেভাবে কোনো লাভ হয়নি তাতে।

এদিন লকডাউনের পরিস্থিতিতে রাজ্যের অবস্থা তুলে ধরে নবান্ন থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “কেবল খরচ বেড়েই চলেছে, অথচ রাজ্য সরকারের সেভাবে কোনো উপার্জন নেই। সব কিছু বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এটি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য লকডাউন নয়, রাজ্য সরকারের উপার্জনের ক্ষেত্রেও পুরোপুরি লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে কীভাবে COVID-19 এর ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করা হবে? আর কীভাবেই বা অন্য কোনো কাজের জন্যে ব্যয় করবো আমরা?” কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি এদিন মমতা ব্যানার্জি তীব্রভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন যে, রাজ্যে ক্ষেত্রে কোনো আর্থিক চাহিদা মেটেনি। রাজ্যের জন্য আমাদের দাবি ছিলো যে এফআরবিএম ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করতে হবে। কিন্তু সেসব কিছুই করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই সময় কেন্দ্রের সঙ্গে কোনরকম রাজনৈতিক বিরোধ চাই না আমরা। তবে মনে করি যে, সব কিছু যথাযথ ও স্বচ্ছ ভাবে হওয়া দরকার। আমরা COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাই মেনে চলবো”। কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য কিভাবে সমস্ত কিছু পরিচালনা করবে? তাই ভাষণ এর পরিবর্তে কেন্দ্র যদি কিছু রেশন দেয় তবে তাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।

রেশন বলতে শুধু চালের কথা বলা হচ্ছে না। সাধারন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তা সবকিছুর কথাই বলা হচ্ছে। সমস্ত রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেবল ব্যয় বেড়ে চলেছে, অথচ কোনও উপার্জন নেই রাজ্যের”। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্র, রাজ্য যে কাউকে পাঠাতে পারে। কিন্তু অসহযোগিতা করার জন্য কাউকে পাঠানোর বা কারোর আসার দরকার নেই। ‌

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles