আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কেবল হাজারটা সমস্যা সামনে আনতে পারে হারাতে পারেনা কাউকে। জিতে যাওয়ার জন্য জেতার ইচ্ছেটুকু যথেষ্ট। মেধা অপেক্ষা করে না কোনো অনুমতির কোনো বাধার। প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে দেয় অদম্য ইচ্ছাশক্তি। এরকম এক কঠিন পরীক্ষায় জয়ী হলেন এক মহিলা। এই রকমই এক অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও মানসিক জোরের অনুপ্রেরিত করা গল্প নিয়ে এলেন উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের বাসিন্দা ফতেমা। গল্প হলেও তার প্রতিটা অক্ষর সত্যি।
দেশজুড়ে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার অন্যতম হলো ইউপিএসসি। ২০১৭ সালের ইউপিএসসিতে দেশে ৮১০ রাঙ্ক করে আজ তিনি আইএএস অফিসার। কিন্তু তার এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর প্রতি মুহূর্তে ছিল বাধা। ফাতেমার বাবা পেশায় একজন একাউন্টেন্ট। ফতেমা যখন দ্বাদশ শ্রেণী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হলেন তখন তাদের আর্থিক অবস্থা ভীষণভাবে সংকটে ছিল। এরপর সাধারণভাবেই বিএসসি পাস করে বিএড ডিগ্রি নেন। সংসারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হতে থাকে যে তিনি গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। টাকা বাঁচাতে প্রতিদিন আট কিমি হেঁটে স্কুলে পড়াতে যেতেন।
প্রতিদিন আট কিমি যাতায়াত, স্কুলে পড়ানো, নিজের পড়া দিনশেষে শরীরে ক্লান্তি এলেও ইচ্ছাশক্তির জন্য মনে ক্লান্তি আসেনি। তাই এই পরিস্থিতির মধ্যেও মানসিক জোরে কঠিন অধ্যাবসায়ের সাথে ইউপিসির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ২০১৪ সাল থেকে লাগাতার প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
এরই মাঝে তার পরিবারের তরফ থেকে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সংসারজীবন যাপনের মাঝেও তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। আর ২০১৭ সালে সেই কঠিন অধ্যাবসায়ের ফলে ধরা দিল সাফল্য। সারা দেশের মধ্যে ৮১০ rank করে আজ ফতেমা একজন আইএএস অফিসার।